কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, ভোটারদের বাড়ির সামনে বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা পৌঁছলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা প্রতিবাদ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন খোদ বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় ও উত্তর কলকাতা বিজেপির সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ। তাঁদের দেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মহিলারা। তাপস রায়কে ঘিরে ওঠে গো-ব্যাক স্লোগান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেলেঘাটা থানার পুলিস এবং ডিসি (ইএসডি) গৌরব লাল। হাতাহাতিতে একজন বিজেপি কর্মীর নাক ফেটেছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। তমোঘ্নবাবু বলেন, ‘ভোট হচ্ছে। সেখানে সব দলের এজেন্ট থাকার কথা। ওই বৃদ্ধের বাড়ি তৃণমূলের লোকেরা ঘিরে রেখেছিল। ভোট প্রভাবিত করা চেষ্টা করছিল। আমাদের এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি।’ তৃণমূলের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার আশুতোষ দাস বলেন, ‘ওরা নিয়মটাই জানে না। ৮৫ বছরের উর্ধ্বে যে বয়স্ক ভোটারদের ভোট হচ্ছে, তাঁদের বাড়িতে কোনও দলেরই এজেন্ট থাকতে পারে না। কোনও প্রার্থীও থাকতে পারেন না। সেখানে তাপস রায় লোকজন নিয়ে চলে এসেছিলেন।’
অন্যদিকে, এদিন সকালে পঞ্চসায়র এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। ছোট ম্যাটাডোরে উঠে তিনি এলাকা পরিক্রমায় বের হন। সঙ্গে বেশ কয়েকটি বাইক ও অটোতে চেপে বাম কর্মী-সমর্থকরাও যান। সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র। মিছিল খানিকটা এগোতেই শহিদ স্মৃতি কলোনি এলাকায় জনা কয়েক স্থানীয় বাসিন্দা বাধা দিতে থাকেন। তাঁদের দাবি, এখানে স্লোগান দেওয়া যাবে না। আরও খানিক এগলে প্রচার অটোর সামনে জনা তিনেক লোক শুয়ে পড়েন। সৃজনকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মিছিল এগনোর ব্যবস্থা করেন। ওই জটলা থেকেই সিপিএমের পতাকা ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গাড়ির দিকে ইট ছোঁড়া হয়েছে বলেও অভিযোগ বামেদের। সৃজন বিক্ষোভকারীদের দিকে হাত নাড়িয়ে, থাম্বস আপ দেখিয়ে চলে যান। সৃজন বলেন, ‘তৃণমূল, তৃণমূলের কাজ করেছে। এসব করে যাদবপুরে সিপিএমকে আটকানো যাবে না। তৃণমূলের ২০টা লোক কী করল, কিছু যায় আসে না।’ অন্যদিকে, সোমবার গভীর রাতে নাকতলা এলাকায় সিপিএমের পোস্টার-ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। সৃজন বলেন, ‘কারা পতাকা-ফ্লেক্স ছিঁড়ছে, সহজেই অনুমেয়। যাদের হাঁটু ঠকঠক করে কাঁপছে, বুঝতে পারছে যাদবপুরের মানুষ ক্রমশ লাল ঝাণ্ডাকে আঁকড়ে ধরছেন। এখন ওরা ভয় দেখাচ্ছেন।’ এই বিষয়ে যাদবপুরের তৃণমূল বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘এটা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। প্রতিবাদ করা তো মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেটাই স্থানীয়রা করেছেন।’