কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
২০১৯ সালে হুগলি লোকসভার বলাগড়ে সবচেয়ে বেশি ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। সেখানকার দাপুটে তৃণমূল নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাঝি বলেন, আমরা অন্তত ১২-১৫ হাজার ভোটের লিড দেব। হুগলি লোকসভার অন্যতম চর্চিত বিধানসভা সিঙ্গুর। গত লোকসভাতে জমি আন্দোলনের সেই আঁতুড়ঘরেও তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। সেখানকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, আমরা সিঙ্গুরের কর্মীরা, শপথ নিয়েছিলাম সাত বিধানসভার মধ্যে সবেচেয়ে বেশি লিড দেব। কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেই লক্ষ্য পূরণ করেছেন। চুঁচুড়ার বিধায়ক তথা হুগলি জেলার সহ সভাপতি অসিত মজুমদার বলেন, চুঁচুড়া থেকেও লিড হবে। তবে তার থেকেও বড় কথা সব বিধানসভার নেতৃত্ব যদি লিড দেন, তবে আমাদের প্রার্থী লক্ষাধিক ভোটে জিতবেন। শুধু জয় নয়, জয়ের ব্যবধানটাও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে বিজেপির রাজ্যনেতা স্বপন পাল বলেন, খেয়ালি পোলাও রাঁধতে বসেছেন তৃণমূলের নেতারা। ফলে যত পারছেন ঘি দিচ্ছেন। আমাদের প্রার্থী গতবারের থেকেও বেশি ভোটে জিতবেন। গত লোকসভায় তৃণমূলকে লিড দিয়েছিল ধনেখালি। সেখানে সবুজ শিবিরের কোমর আমাদের প্রার্থী ভোটের দিন ভেঙে দিয়েছেন। সিপিএম নেতা তথা লোকসভার প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ বলেন, হুগলির মানুষ এবার বামেদের ফেরাতে ভোট দিয়েছেন। ৪ জুন তা প্রমাণ হয়ে যাবে।
রাজনৈতিক মহল অবশ্য বলছে, এই দাবি, পাল্টা দাবি রাজনীতিরই অঙ্গ। তবে বাস্তব এই যে, গত লোকসভা ভোটে চন্দননগর ও ধনেখালি ছাড়া আর কোনও বিধানসভা আসনেই তৃণমূল লিড পায়নি। কিন্তু এবারের ভোটে তৃণমূলের বিধানসভার গোষ্ঠীপতিদের ভিন্ন ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। এমনিতেই দলের পক্ষে একটি সতর্কবার্তা শীর্ষ নেতৃত্ব দিয়েই রেখেছিলেন। পাশাপাশি, জমি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যেও গোষ্ঠীপতিরা পরিশ্রম করেছেন। তার সুফল রচনা পেতে পারেন। উল্টোদিকে বিজেপির বিদায়ী সাংসদের আশেপাশে অনেক মানুষকে দেখা গেলেও, লড়াইটা অনেকটাই তাঁর একার ছিল। তার খেসারত লকেটকে দিতে হতে পারে। ২০১৯ সালের তুলনায় এবার বামেদের সক্রিয়তাও বেশি ছিল। বামপ্রার্থী নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক সামান্য ফেরাতে পারলেও ক্ষতি আখেরে কিন্তু বিজেপিরই। তবে শেষ পর্যন্ত কোন অঙ্ক কাজ করল, তার উত্তর মিলবে ৪ জুন।