কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
পুরসভার ৯ নম্বর বরোর অন্তর্গত ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে কবিতীর্থ সরণি (১৯/এইচ/১০) এলাকার ঘটনা। একটি বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়ার পর ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বিষয়টি নিয়ে ওয়াটগঞ্জ থানাকে ব্যবস্থা নিতে বলে কলকাতা পুরসভা। সে সময় ওই বেআইনি নির্মানটি ছিল একতলা। কিন্তু পুরসভার তরফে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরও কোন হেলদোল দেখায়নি ওয়াটগঞ্জ থানা। আর সেই সুযোগে একতলা থেকে দোতলা, তারপর পাঁচতলা বেআইনি নির্মাণ মাথা তোলে। অবশেষে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে হওয়ার পর নির্মাণটি বন্ধ করতে পদক্ষেপ করে পুলিস।
বিচারপতি সিনহার এজলাসে মামলাটি উঠলে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পরও কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। ওই প্রোমোটার মোট পাঁচটি বেআইনি নির্মাণ করছেন। পুরসভার তরফে দাবি করা হয়, অভিযোগ পাওয়ার পরই গত বছর ১৭ নভেম্বর পুর আইনের ৪০১ নম্বর ধারায় নোটিস দেওয়া হয় এবং পুলিসের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। শুধু থানা নয়, কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনারকেও (হেডকোয়ার্টার) বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবুও ওই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হয়নি। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ১৮ মার্চ এফ আই আর দায়ের করা হয়। এরপরই রাজ্যের আইনজীবীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেন বিচারপতি সিনহা। রাজ্যের আইনজীবী দাবি করেন, বর্তমানে নির্মাণটি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি। ভর্ৎসনার সুরে তিনি বলেন, ‘কোনও ভুল কাজকে জাস্টিফাই করতে আসবেন না। নভেম্বর থেকে আপনারা কী করছিলেন, এর উত্তর দিন।’ এই প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারেননি রাজ্যের আইনজীবী।
এরপরই বিচারপতি নির্দেশে জানান, গত বছর নভেম্বর মাসে পুরসভার তরফে অভিযোগ জানানোর পর পুলিস কী করেছে, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। ওই রিপোর্ট দেখেই যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে আদালত। সেই সঙ্গে অবিলম্বে ওই বেআইনি নির্মাণের জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করতে হবে। এবং শীঘ্রই সেটি ভাঙার পদক্ষেপ করতে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৮ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।