কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
তবে তিনি একা নন। এভাবে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে সম্পত্তি করের সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট না হওয়া করদাতাদের কাছে পুরসভার তরফে ফোন যাচ্ছে। তথ্য বলছে, শহরের প্রায় সাড়ে ন’লক্ষ করদাতার মধ্যে মাত্র দু’লক্ষের কিছু বেশি এই সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট করেছেন এবং সেই সূত্রে ইউনিট এরিয়া করব্যবস্থার আওতাভুক্ত হয়েছেন। বাকিদের এখন সেল্ফ অ্যাসেসমেন্টের আবেদনপত্র পূরণ করতে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। তাই শহরের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা ফোন পাচ্ছেন।
পুরসভার সম্পত্তি কর মূল্যায়ন এবং রাজস্ব আদায় বিভাগ সূত্রের খবর, গত কয়েক বছর ধরেই চালু হয়েছে এই স্ব-মূল্যায়ন ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে নিজের সম্পত্তি নিজে মূল্যায়ন করে কর ধার্য করতে পারেন করদাতারা। কিন্তু করদাতাদের মধ্যে সেভাবে ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট জনপ্রিয় করা যায়নি। তাই গত এক-দেড় বছর ধরে এই সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন কোনও সম্পত্তির মিউটেশন করতে গেলেই তা স্ব-মূল্যায়নের তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুরনো সম্পত্তি কেউ বেচতে গেলে বা ট্যাক্স ছাড় পেতে চইলেও ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট করতে হচ্ছে। কিন্তু, বড় অংশের করদাতা এখনও ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্টের তালিকায় নেই। এবার তাই পুরকর্তারা নিজেরাই ফোন করে করে তাগাদা দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্তা বলেন, ‘নতুন করে যে ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরি হচ্ছে কিংবা যখন নতুন করদাতা পুরসভার খাতায় নাম লেখাচ্ছেন, তখন আমরা সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট ফর্ম পূরণ করিয়ে নিচ্ছি। তার বাইরেও বড় অংশের করদাতারা রয়েছেন, যাঁদের বিভিন্ন জোনাল অফিস থেকে ফোন করে সম্পত্তির স্ব-মূল্যায়ন করার জন্য তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের বেশ মোটা টাকা কর বাকি পড়ে রয়েছে, সেই তালিকা ধরে ধরে ফোন করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, প্রায় সাত-আট বছর আগে এই ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট চালু হলেও প্রথম দিকে আবেদনপত্রে নানা জটিলতা ছিল। ফলে করদাতারা আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না। বছপ দু’য়ের আগে সেই আবেদনপত্র আরও সরলীকরণ করা হয়। তবুও করদাতাদের থেকে ভালো সাড়া মেলেনি। তাই এখন সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।