নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম অরূপকুমার মালিক। তিনি জাঙ্গিপাড়ার দিলাকাশ এলাকার বাসিন্দা। এদিন তিনি বিজেপির এজেন্ট হিসেবে মক পোলিংয়ে এসেছিলেন। ধৃত ব্যক্তি অবশ্য এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি। তবে তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন কবীরশঙ্কর। তিনি বলেন, আমি ভোটপ্রার্থী। আইন মোতাবেক ভোট বিষয়ক যে কোনও চর্চায় আমার যাওয়ার অধিকার আছে। সেকারণেই জনাইয়ের ট্রেনিং ও মকপোল সেন্টারে গিয়েছিলাম। কাউকে বাঁচাতে যাইনি। আমাদের কর্মীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তার সত্য মিথ্যা জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, ব্যালট ইউনিট দিয়ে ভোট প্রভাবিত করা যায় না। মক পোলিং সেন্টারে উপস্থিত তৃণমূলের এজেন্ট তথা চণ্ডীতলার নেতা কৌশিক শীল বলেন, বিজেপি প্রার্থী লোকলস্কর নিয়ে সেন্টারে ঢুকেছিলেন। তা অন্যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে চোর কে! ব্যালট ইউনিট দিয়ে ভোট প্রভাবিত করার উদ্দেশ্য না থাকলে বিজেপি কর্মী তা কেন চুরি করেছিলেন?
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখানে বোতাম টিপে ভোট দেওয়া হয়, সেই অংশটিকে ব্যালট ইউনিট বলে। এদিন হুগলির জনাই ট্রেনিং স্কুলে জাঙ্গিপাড়া ও চণ্ডীতলা বিধানসভার ইভিএমের পরীক্ষা ও মক পোলিং ছিল। সেখানে সব দলের এজেন্টরা এসেছিলেন। অভিযোগ, পরীক্ষাপর্ব ও মক পোল শেষ হওয়ার পর দেখা যায়, একটি ইভিএম ইউনিট গায়েব। গোটা মক পোলিং ব্যবস্থাটি সিসি ক্যামেরার তত্ত্বাবধানে চলছিল। ফলে, কমিশনের আধিকারিকরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করেন। তখনই দেখা যায় একজন ব্যালট ইউনিট নিয়ে চুপিসাড়ে সরে পড়ছে। তিনি বিজেপি’র এজেন্ট অরূপ মালিক। তারপর এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করে কমিশন। ব্যালট ইউনিট চুরির জেরে হতবুদ্ধি হয়ে গিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা। যদিও কী উদ্দেশ্যে বিজেপি এজেন্ট ওই কাজ করেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।