নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
বারাকপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন নৈহাটির বিধায়ক তথা মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। ’১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে অর্জুন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান। জিতলেও তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরেন। এবার ভোটে প্রার্থীপদ নিশ্চিত না হওয়ায় তিনি ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অর্থাৎ, গত পাঁচ বছরে তিনবার দলবদল করেছেন তিনি। হালিশহরে সাধক রামপ্রসাদের ভিটের কাছে দাঁড়িয়ে এক মহিলা বললেন, ‘অর্জুনবাবু কখন কোন দলে থাকেন, আমরা টিভি-খবরের কাগজ দেখে তা জানতে পারি!’
বারাকপুরের বাসিন্দারা অনেকে বলছেন, গত লোকসভা ভোটের পরের বছর খুন হন মনীশ শুক্লা। ভাইপো সৌরভ সিং এখনও পর্যন্ত তৃণমূলে আছেন শুধু নয়, তিনি এবার পার্থ ভৌমিকের ইলেকশন এজেন্টও হয়েছেন। মুকুল রায় ‘নিষ্ক্রিয়’। ফলে টিটাগড় থেকে বীজপুর পর্যন্ত অর্জুন সিংকে এবার পুরনো সঙ্গীদের ছাড়াই লড়তে হচ্ছে। উল্টোদিকে, এই সময়ের মধ্যে বারাকপুরে সংগঠন সাজিয়েছেন পার্থ। ২০১১ সাল থেকে তিনি বিধায়ক। এখন মন্ত্রীও। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভাটপাড়া বাদে বারাকপুর লোকসভার ছ’টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁরা প্রত্যেকে পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন। অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে একজনই বিজেপি বিধায়ক। তাঁর ছেলে পবন সিং!
তবে অর্জুন বলছেন, ‘আমার সঙ্গে তো এখনও লড়াই শুরু হয়নি। তৃণমূল এখন নিজেদের মধ্যে লড়ছে। আমি জিতবই।’ ভাইপো সৌরভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি না থাকলে ওর কিছু নেই। আমিই সৌরভকে চেয়ারম্যান করেছিলাম। এখন কাউন্সিলারও হতে পারবে না।’ তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘বারাকপুরের মানুষ নতুন করে অশান্তি চান না। তাঁরা আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। একুশে তাঁরা দু’হাত তুলে আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। এবারও করবেন।’