পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
অন্য দিকে, সুভাষ সরোবরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সমস্ত প্রবেশপথ ব্যারিকেড করে এবং টিন দিয়ে বন্ধ। রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিসি পাহারা। যদিও সেই লেকে বহিরাগতদের কোনও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি। উল্টে স্থানীয় বাসিন্দারাই সক্রিয় হয়ে যাঁরাই পুজো পালন করতে এসেছেন তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার, ছট পুজোর প্রথম দিন মোটামুটি দুই সরোবরে এই চিত্র। রবীন্দ্র সরোবর লেকে সকালের বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ ছাড়া দিনভর কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। দুপুরের দিকে অবশ্য ঢাকুরিয়ায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি সংলগ্ন রবীন্দ্র সরোবরের গেটে কিছু পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন। পুলিস বুঝিয়ে বলার পর তাঁরা সেখান থেকে ফিরে যান। সকাল থেকে রবীন্দ্র সরোবরের বিভিন্ন গেটে পরিবেশ কর্মীদের ভিড়। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন বাঙালি সংগঠনের লোকেরাও। অন্যদিকে, নোনাডাঙা, আনন্দপুর, পাটুলি, গলফ ক্লাব, পন্ডিতিয়া, বাগবাজার-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিকল্প পরিসরে ভক্তরা সুষ্ঠুভাবে আচার পালন করতে পেরেছেন।
পরিবেশ বাঁচিয়ে ছট পুজো করাতে প্রশাসনও ছিল তৎপর। কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকালের দিকে রবীন্দ্র সরোবরের বিক্ষিপ্ত ঘটনাটি ছাড়া অন্য কোনও খারাপ ঘটনা ঘটেনি। গতবছরের রবীন্দ্র সরোবরের গেট ভেঙে পুণ্যার্থীদের ঢুকে পড়ার ঘটনায় বিতর্ক তৈরি করেছিল।
এ বছর একদিকে করোনা, অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ সেইসঙ্গে প্রশাসনের তরফে শহরজুড়ে স্থায়ী-অস্থায়ী ঘাট এবং কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে দেওয়া, সব মিলিয়ে সুষ্ঠুভাবেই মিটল প্রথম দিনের অনুষ্ঠান। এই প্রসঙ্গে পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমি সমস্ত মানুষকে শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানাই। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ঈদ পালন করেছি আমরা। সেরকম ভাবেই বেশিরভাগ মানুষ বাড়িতে থেকে ছট পালন করেছেন। আমরা অনেক জলাশয় সৃষ্টি করেছি। সেখানে মানুষ বাড়ির সামনে নিয়ম-আচার পালন করেছেন।’ একাধিক বিকল্প জায়গা তৈরি করেছিল কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভা। গত বছর স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে শহরের ২০টি ঘাট ছিল। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা এক লাফে ৫১ করা হয়েছে। রয়েছে ১৬টি কৃত্রিম জলাশয়। মহিলাদের চেঞ্জিং রুম, বাথরুম-সহ নানাবিধ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়। ফলে সব মিলিয়ে একপ্রকার প্রথম দিনের চ্যালেঞ্জে লেটার মার্কস নিয়ে উতরেছে প্রশাসন।