শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
শুক্রবার সকালে সল্টলেক সেক্টর ফোরের নাওভাঙা থেকে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে নিজের দোকান দেখতে গিয়েছিলেন অপর্ণা মণ্ডল। গিয়ে দেখেন দোকানের উপর একটা আস্ত গাছ পড়ে রয়েছে। কে গাছ কাটবে? অনেককে অনুরোধ করার পর কয়েকজন যুবক এল বটে, কিন্তু তারা গাছের মাথার অংশ কেটে, গোড়া না সরিয়েই চলে গেল। অপর্ণাদেবী বলেন, ওই গাছ সরানোর ক্ষমতা আমার নেই। কেউ সাহায্য করল না। আফশোস করতে করতেই বাড়ি ফিরলেন তিনি। তাঁর কথায়, অল্প অল্প করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে দোকানটা করেছিলাম। এক ঝড়েই সব শেষ। দু’মাস ধরে আয় নেই, জমানো টাকাও প্রায় নিঃশেষ। এবার আয়ের রাস্তাটুকুও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। খাব কী?
প্রায় একই কথা শোনা গেল বেলেঘাটার কৃষ্ণা সরকারের গলাতেও। তিনি বলেন, দোকানের আর কিছু অবশিষ্ট নেই। ত্রিপল, বাঁশ সবই উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে এই ঝড়। লকডাউনের জন্য একে রোজগার নেই। তার উপর প্রায় ১০ হাজার টাকার বেশি ক্ষতি হয়ে গেল। কোথা থেকে আসবে এই টাকা, প্রশ্ন কৃষ্ণাদেবীর। নয়াপট্টির উত্তম দাসের সেক্টর ফাইভে খাবারের দোকান। এদিন দোকান দেখতে গিয়ে তাঁর চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসে। প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ করে বহু বছর ধরে দোকানটাকে ধীরে ধীরে সাজিয়ে তুলেছিলেন। গুমটির একটি অংশ গুঁড়িয়ে গিয়েছে গাছের ধাক্কায়। বাকি অংশ উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে উম-পুন। লকডাউন উঠলে উত্তমবাবু ফের যে দোকান চালু করবেন, সেই পথও খোলা নেই। দোকান সারাতেই এখন খরচ ১০ হাজার টাকার বেশি। এই টাকা কে দেবে, নিজেই প্রশ্ন করলেন তিনি। নিউটাউনেই খাবারের দোকান আনসার মোল্লার। তাঁর গলাতেও একই সুর। তিনি বলেন, কীভাবে যে দোকানটাকে ফের চালু করতে পারব, কে জানে! দোকানের অবশিষ্ট বলে কিছু নেই। সবই উড়ে গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র