শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
উম-পুনে বিপর্যস্ত বারাকপুর মহকুমায় এখনও বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। সে কারণে পানীয় জলের নিদারুণ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এলাকার নলকূপগুলিতে দীর্ঘ লাইন পড়ছে। অনেকে পাতকুয়োর জল ব্যবহার করছেন। বাড়িতে জলের অভাবে এদিন গঙ্গায় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। প্রতিটি ঘাটে সামাজিক দূরত্ববিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শয়েশয়ে মানুষ স্নান ও কাচাকাচি করলেন। গাড়ুলিয়ার গঙ্গার পাড়ে নিমতলা ঘাট, বিচালি ঘাট ও কাঙালিঘাটে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।
বরানগর, বেলঘরিয়া, পানিহাটি, সোদপুর, ঘোলা, খড়দহ, বারাকপুরের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে বিকেল পর্যন্ত গাছ পড়ে রয়েছে। সেই গাছ কাটতে প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের দেখা যায়নি। এ কারণে আরও ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। পানিহাটি শ্মশানঘাট বুধবার থেকে বন্ধ, কারণ সেখানে বিদ্যুৎ নেই। যার ফলে খড়দহ শ্মশানঘাটে ভিড় বাড়ছে।
বারাকপুর শহরের স্টেশন সংলগ্ন ধরিয়া পাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, বাথরুম করার জল পর্যন্ত নেই। ১০ মিনিট দূরের একটি চাপাকলে এক ঘণ্টা লাইন দেওয়ার পর জল পাচ্ছি। টিটাগড়, উত্তর বারাকপুর, শ্যামনগর, ভাটপাড়া, নৈহাটি, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া সর্বত্র হাহাকারের একই চিত্র। বাসিন্দারা বলেন, বিদ্যুৎ দপ্তর ও প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের দেখা নেই। বাড়িতে বা রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছ নিজেরাই সরিয়েছি। প্রশাসনের দেওয়া কন্ট্রোল রুমের ফোন বেজেই যাচ্ছে, কেউ ধরছে না। অনেক সময় ধরলেও সরাসরি জানিয়ে দিচ্ছেন, কেউ এখন যেতে পারবে না। বারাকপুর মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর, উপ-পুনে মৃত্যুর সংখ্যা মোট তিন জন। প্রায় ১০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।