শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘরিয়ার বয়লার গেট সংলগ্ন এলাকায় বিজেপির পার্টি অফিস রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ওই পার্টি অফিসে বসে দলীয় কাজকর্ম করেন বিজেপি কর্মীরা। রাতে কার্যালয় বন্ধ করে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। এরপর একটি বাইকে তিন যুবক ব্যাট ও লাঠি দিয়ে পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়ে রাতেই বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হন। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে বেলঘরিয়া থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ছিলেন রাজা বিশ্বাস। বাড়ির বাইরে থেকে কয়েক জন তাঁর নাম ধরে ডাকে। তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে অভিযুক্তরা ছুরি নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। জখম রাজাবাবুর চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা দৌড়ে এলে অভিযুক্তরা চম্পট দেয়। স্থানীয়রা তাঁকে প্রথমে পানিহাটি হাসপাতাল ও পরে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিজেপির পার্টি অফিসে হামলার বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, আমাদের দলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে সর্বত্র বিজেপির দুই পক্ষের মধ্যে মারপিট চলছে। এটাও ওই ঘটনার ফলশ্রুতি হতে পারে। বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি কিশোর কর বলেন, আমাদের অনুমান তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের সাংগঠনিক জেলায় এখনও মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন শুরু হয়নি। ফলে অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।