কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
শীতের দুপুরে রোদ গায়ে মেখে পুকুর পাড়ে ছিপ নিয়ে বসার অভ্যাস গ্রাম বাংলায় এখনও প্রচলিত। কিন্তু, শহুরে বাঙালিদের কাছে অনেকদিনই সেই স্বাদ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। পুকুর, খাল-বিল বা নদীতে গিয়ে মাছ ধরার মতো সুযোগ-সময় এখন বোধহয় কারও কাছেই প্রায় নেই। তা সত্ত্বেও বহু মানুষই এখনও মাঝেমধ্যেই সেই পুরানো অভ্যাসকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেতে ইচ্ছুক হন। সেই সমস্ত মানুষদের কথা ভেবেই প্রতিবছর সল্টলেকের বনবিতানে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে মাছ ধরার ব্যবস্থা করা হয়। ৬০০ টাকার টিকিটে ১০ কেজি পর্যন্ত মাছ ধরার সুযোগ পাবেন উৎসাহীরা। শুক্রবার বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং বনদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুজিত বসু এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মাছ ধরার এই অনুষ্ঠান চলবে।
মন্ত্রীরা উদ্বোধন করবেন, তাই বনদপ্তরের পক্ষ থেকে কয়েকজন মাছ ধরায় পারদর্শীদের এদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁরা বনবিতানের জলাশয় থেকে মাছ ধরে মন্ত্রীদের দেখান। তাঁদের একজন মন্ত্রীকে আবার অভিযোগ করেন, পুকুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ ছাড়া হয় না। সেবিষয়ে কর্মী-আধিকারিকদের থেকে খোঁজও নেন মন্ত্রী। আধিকারিকরা মন্ত্রীকে জানান, জলাশয়ের মাপ এবং জলের পরিমাণ অনুযায়ী যে পরিমাণ মাছ থাকার কথা, সেই পরিমাণই মাছ এখানে রাখা হয়। অতিরিক্ত মাছ থাকলে জলে অক্সিজেনের অভাব হবে, সেক্ষেত্রে মাছের মৃত্যুও হতে পারে। তবে যাঁরা এখানে মাছ ধরতে আসছেন, তাঁরা নিরাশ হবে না বলেই মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন দপ্তরের কর্মীরাও।
তাঁরা জানিয়েছেন, এই পার্কে আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত মাছ ধরার ব্যবস্থা খোলা থাকবে। ১০ কেজির বেশি মাছ কেউ ধরতে চাইলে, তাঁকে ফের ৬০০ টাকার টিকিট কাটতে হবে। অবশ্য কেউ যদি ১০ কেজির বেশি মাছ ধরে অতিরিক্ত মাছ ফের জলে ফেলে দিয়ে শুধুমাত্র ১০ কেজি মাছই সঙ্গে নিয়ে যেতে চান, তাহলে তাঁকে শুধুমাত্র একবারই ৬০০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে। বাঙালি তাঁর পুরানো অভ্যাসকে ঝালিয়ে নিতে আগামী কয়েকদিন বনবিতানে যথেষ্ট সংখ্যাক ভিড় জমাবে বলেই আশা প্রকাশ করেন ব্রাত্যবাবু এবং সুজিতবাবু।