কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
কলকাতার বিভিন্ন স্থানে মূলত পুজোর পর এই ক’দিনে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। তা নিয়ে পুরসভার বিরোধী দলগুলি স্বাভাবিকভাবে সোচ্চার হয়েছে এদিন। ক’দিন আগে এই ইস্যুতে ‘পুরসভা অভিযান’ ডেকেছিল বিজেপি যুবমোর্চা। তাতে পুলিসের সঙ্গে তাদের তুলকালাম বাধে। এদিন অবশ্য প্রবল বাগবিতণ্ডা চললেও অধিবেশনে দীর্ঘ সময় ধরে সব দলের মোট ১১ জন প্রতিনিধি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। বামেদের তরফে দলনেত্রী রত্না রায়মজুমদার, মুখ্য সচেতক চয়ন ভট্টাচার্য, মধুছন্দা দেব, বিলকিস বেগম বলেন, ডেঙ্গু ঠেকানোর জন্য যতটা কথা শুনতে পাচ্ছি, বাস্তবে তার প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে না। রত্নাদেবী বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ের অভাব তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, যে ‘১০০ দিনের কাজে’র কর্মীরা মাসে মাত্র ৩ হাজার ৭০০ টাকায় কাজ করেন। চুক্তিভিত্তিক ও ক্যাজুয়াল কর্মীদের ইএসআই, পিএফ কিছুই নেই। এই অবস্থায় তাঁদের দিয়ে কতটা কাজ করানো যায়? এঁদের মাইনে বাড়ানোর জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। খিদিরপুর এলাকার সিপিএম কাউন্সিলার বিলকিস বেগম বলেন, আমার এলাকায় এইচআরবিসি, রাজ্য পূর্ত দপ্তর, প্রতিরক্ষা সহ নানা এজেন্সির সম্পত্তি রয়েছে। কোথাও কোনও সমন্বয় না থাকায় সবসময় দায় এড়ানোর খেলা চলছে। ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে। বিজেপির কাউন্সিলার তিস্তা বিশ্বাস বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে আমার ওয়ার্ডের ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের কাজে লাগানোর ক্ষমতা আমাকে দেওয়া হয়নি। তাঁদের দিয়ে কোনও কাজ আমি করাতে পারি না। মানুষের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাকে। পাল্টা তৃণমূলের হয়ে বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, দেবব্রত মজুমদার তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০০৯ সালে কলকাতায় মাত্র ৪০টি ওয়ার্ডে হেলথ সেন্টার ছিল। সেই জায়গায় এখন তা রয়েছে ১৪৪টি ওয়ার্ডে। ত্রিস্তরীয় নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩২টি র্যা পিড অ্যাকশন ফোর্স, ১৬টি ডেঙ্গু পর্যবেক্ষণ দল লাগাতার কাজ করে চলছে। এই মানের পরিকাঠামো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দেশের কাছে। অতীনবাবু জবাবি ভাষণে বলেন, সারা বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গু এখন একটা বড় বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। জনগণের সচেতনতাকে চূড়ান্ত জায়গায় না নিয়ে যেতে পারলে এই লড়াইয়ে জেতা যাবে না। পাশাপাশি এবার পুজোর প্যান্ডেল সংলগ্ন এলাকা থেকে বেশি ডেঙ্গু ছড়িয়েছে বলে জানান তিনি। আগামীবার এজন্য পুজো কমিটিগুলিতে নোটিস দিয়ে বলে দেওয়া হবে, প্যান্ডেলের বাঁশ এমনভাবে কাটতে ও লাগাতে হবে, যাতে বাঁশের ফাঁপা অংশে জল না জমে থাকে।