কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
গতবছর ৩ অক্টোবর দেশের ৪৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন রঞ্জন গগৈ। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে তাঁর আগে কেউ প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পাননি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে শপথবাক্য পাঠের পর রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছিলেন তিনি। এদিন আদালতের কাজ শেষের পরও সেখানে যান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। শীর্ষ আদালতের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এদিন দেশের ৬৫০ জন হাইকোর্টের বিচারপতি এবং ১৫ হাজার জুডিশিয়াল অফিসারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সও করেছেন তিনি।
শেষ কর্মদিবসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের একান্ত সাক্ষাৎকার নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তা সযত্নে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। এদিন নিজের শেষ বার্তায় অবশ্য সংবাদমাধ্যমের প্রশংসা করেছেন প্রধান বিচারপতি। ১৯৭৮ সালে আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছিলেন রঞ্জন গগৈ। ২০০১ সালে গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১১ সালে পাঞ্জাব হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে উন্নীত করা হয় তাঁকে। ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন গগৈ। ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে নজিরবিহীনভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ খুলেছিলেন শীর্ষ আদালতের চারজন বিচারপতি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গগৈও। দীপক মিশ্র অবসর নেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি পদে বসেন তিনি। প্রধান বিচারপতি হিসেবে গত ১৩ মাসে অযোধ্যা, এনআরসি, রাফাল চুক্তি, প্রধান বিচারপতির দপ্তরকে আরটিআই আওতায় আনা সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন গগৈ।