নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
সপ্তদশ লোকসভা ভোটের শেষ লগ্নে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক তথা ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং। দল বদল ইস্তক বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মিশ্র এলাকায় শুরু হয় দুষ্কৃতী তাণ্ডব। তার সঙ্গে ছিল ধর্মীয় বিভাজনের উস্কানি। তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল থেকে শুরু করে বোমাবাজি, সশস্ত্র হামলা, সাম্প্রদায়িক হানাহানি ছিল নিত্যকার ঘটনা। যার জেরে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে অর্জুন বিজয়ী হওয়ার পরে অশান্তি থামার বদলে বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। এদিকে, পুরসভায় তৃণমূলের টিকিটে জেতা কাউন্সিলাররা দল বদলে পদ্ম শিবিরে নাম লেখানোয়, অর্জুন চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে গেলেও বিজেপি বোর্ডের দখল নেয়। উল্লেখ্য, গত পাঁচ মাসে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও চরম ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে এই পুরসভার বিরুদ্ধে। এমনকী পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতনও বন্ধ হয়ে যায়, সঙ্কটে পড়ে পুর কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের পুর দপ্তরের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছিলেন সাংসদ অর্জুন। এদিন যে বারোজন পুর প্রতিনিধি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে দলের রাজ্য দপ্তরে এসেছিলেন, তাঁদের দাবি, নানাভাবে ভয় দেখিয়ে, ত্রাস তৈরি করে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার ফলে উন্নয়নের কাজ করা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, ওঁদের হৃদয়ে লেখা আছে তৃণমূল। তাই পাথরে যতই পদ্মফুলের নাম লেখা হোক না কেন, তা ক্ষয়ে যাবে। কিন্তু হৃদয়ে লেখা নাম রয়ে গিয়েছে। তাই ভুল শুধরে সবাই ঘরে ঘিরে এসেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে হালিশহর, গাড়ুলিয়া, নৈহাটি পুরসভাতেও বিজেপির বকলমে অর্জুনের দখলদারির অবসান ঘটেছে।
মোট ৩৫ সদস্যের ভাটপাড়া পুরবোর্ড। বর্তমানে এক তৃণমূল সদস্য প্রয়াত, একজন জেলে বন্দি এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান অর্জুন সিংকে বাদ দিলে ৩২ জন কাউন্সিলার রয়েছেন। এর মধ্যে একজন সিপিএমের। এদিন বারোজন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমে হল ১৪, এবং পাঁচ থেকে বেড়ে তৃণমূলের সদস্য হল ১৭। অর্থাৎ বোর্ড দখলের ম্যাজিক সংখ্যা ১৭ এখন তৃণমূলের হাতে। কিন্তু পুরবিধি অনুসারে একবার অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে ফের তা আনা যায় না। বিগত অনাস্থার পর ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হবে ৬ ডিসেম্বর। তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি ও মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, সব প্রস্তুতি রয়েছে। ৬ ডিসেম্বরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ড হাতে পাবে তৃণমূল।