নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
উত্তর কলকাতার সিমলায় স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটের (স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক আবাস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র) রামকৃষ্ণ মঞ্চে মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় জগদ্ধাত্রী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এই পুজোয় বহু ভক্তের সমাগম হয়। স্বামী বিবেকানন্দের সংগ্রহশালার আধিকারিক স্বামী একরূপানন্দ জানান, মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। বিতরণ করা হয় প্রসাদ। সন্ধ্যায় আরতি ও বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন স্বামীজির বাড়িতে মা জগদ্ধাত্রীকে দর্শন করতে। মধ্য কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির কাছে রাজেন্দ্র দেব রোডে দে বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছিল আজ থেকে ১২৩ বছর আগে। পূর্বপুরুষদের যাবতীয় রীতিনীতি মেনে এখনও এই বাড়িতে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্মীপুজোর তিনদিন পর কুমোরটুলির পটুয়াপাড়ায় বায়না করা হয় জগদ্ধাত্রী প্রতিমার। পুজোর দু’দিন আগে মা’কে কাপড় পরিয়ে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। তারপর পুজোর আগের দিন সন্ধ্যায় মা’কে রাজবেশ পড়ানো হয়। বিভিন্ন অলঙ্কারে সাজানো হয় মাকে। পুজোর কদিন বাড়িতে প্রচুর লোকজনের সমাগম হয়। রীতিমতো শাস্ত্র মেনে নানা উপাচারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় এই পুজো। আগে এই পুজোয় ছাগ বলি দেওয়া হতো। এখান চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। পুজো উপলক্ষে ফানুস ওড়ানো হয় ও আতসবাজি পোড়ানো হয়। দশমীর সন্ধ্যায় বরণ করার পর সেগুন কাঠের বিশেষ রথে করে মা জগদ্ধাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরঞ্জনের উদ্দেশ্যে।
মানিকতলা সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির পুজো এবারও ধূমধাম সহকারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলবার বিশিষ্ট মানুষদের উপস্থিতিতে এই পুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। নারকেলডাঙা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো এবার ২০তম বর্ষে পা দিল। সোমবার সন্ধ্যায় মাতৃমূর্তির আবরণ উন্মোচিত হয়। পুজো উপলক্ষে আজ, বুধবার মায়ের আরাধনা হবে। হবে ভোগ বিরতণ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেলেঘাটা বিশ্বাস নার্সারি লেনের চিত্রকূট ক্লাবের পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। সারদেশ্বরী আশ্রমের সন্ন্যাসিনী মা সুবেদাপুরী দেবী প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করেন। উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলার আশুতোষ দাস, কাউন্সিলার স্বপন সমাদ্দার, ডাঃ অজয়কুমার সামন্ত, পরিতোষ রাহা, কমলাকান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ। পুজো উপলক্ষে একগুচ্ছ সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উত্তর শহরতলির কামারপাড়া সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো এবার পড়ল দ্বাদশ বর্ষে। এই পুজো পরিচালনা করেন মহিলারা। এখানকার প্রতিমা সাবেকি। মণ্ডপ ও আলোয় থাকছে নানা বৈচিত্র্য। ডানলপে ঠাকুর শ্রী ওঙ্কারনাথ দেব প্রতিষ্ঠিত মহামিলন মঠে এবারও জগদ্ধাত্রী পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শহরতলির ব্যানার্জি পাড়াতেও যথাযোগ্য মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজো। উত্তর কলকাতার শ্যাম পার্কের সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী প্রতিমা সাবেকি। এখানকার প্রতিমা শিল্পী হলেন নারায়ণ পাল। প্রতিমার উচ্চতা চালচ্চিত্র সহ ২২ ফুট। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেন প্রমুখ।