নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সামগ্রিকভাবেই কর আদায় কমে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার আর লোকসানের পথে হাঁটতে রাজি নয়। তাই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বিভিন্ন পণ্যে জিএসটি হার কমানোর সম্ভাবনা কম। আশা করা হয়েছিল, অটোমোবাইল সেক্টরে জিএসটি কমতে চলেছে। বিশেষ করে টু হুইলারের জিএসটি কমানোর একটা প্রস্তাব ছিল। এমনকী সেই ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রী নিজেই দিয়েছিলেন। কিন্তু আপাতত সেই সিদ্ধান্ত সম্ভবত নেওয়া হবে না। সেরকমই আভাস দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। যা চূড়ান্ত হতাশ করছে অটোমোবাইল সেক্টরকে। তবুও জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে টু হুইলার সেক্টর। সবথেকে বড় আশার কথা হল, টু হুইলার বিক্রি আগস্ট মাসে অনেকটাই বেড়েছে। সম্প্রতি অটোমোবাইল সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে সরকারের উপর চাপ দেওয়া হয়েছে যাতে জিএসটি কমানো হয়। অর্থমন্ত্রক বলেছে, করোনা ও লকডাউনের কারণে এই সেক্টর ইতিমধ্যেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু আগস্ট মাসে টু হুইলার বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে। এমনকী ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের তুলনায় গত আগস্ট মাসে টু হুইলার বিক্রি বেশি। একইভাবে গ্রামীণ অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাক্টর বিক্রিও বেড়েছে অনেকটাই। পরবর্তী জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে অটোমোবাইল, বস্ত্রশিল্প, ফুড আইটেম সহ বেশ কিছু সেক্টর। তাদের আশা, যে সেক্টরগুলি লকডাউনে বড় ধাক্কা খেয়েছে জিএসটি কাউন্সিল তাদের সুরাহা দেবে। জিএসটি কমার আশায় কয়েকটি সংস্থা ইতিমধ্যেই আভাসও দিয়েছিল তারা তাদের উৎপাদন ইউনিটের সম্প্রসারণ করবে। কিন্তু এটা নিশ্চিত, জিএসটির হার না কমানো হলে সেই সম্ভাবনা শূন্য। আগামীকাল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জিএসটি হার কমার সম্ভাবনা কমছে কেন? এর প্রধান কারণ সরকারের আয়কর ও অগ্রিম কর সংগ্রহ বিপুলভাবে কমে গিয়েছে। আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক এখনও সমাপ্ত হয়নি। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে, সেখানে ২২.৫ শতাংশ কমেছে আয়কর আদায়। ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা আয়কর আদায় হয়েছে। গত আর্থিক বছরে এই দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আয়কর সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। এর আগের ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল থেকে জুন) ৩১ শতাংশ কম হয়েছিল আয়কর সংগ্রহ।