উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাতে পুরুষদের লং জাম্পে ৮.০৮ মিটার লাফিয়ে রুপো জিতেছেন শ্রীশঙ্কর। প্রথম দিকে কিছুটা সমস্যা হলেও, পঞ্চম জাম্পে পদক জয় পাকা করে ফেলেন কেরলের ২৩ বছর বয়সি জাম্পার। এই ইভেন্টে সোনা পেয়েছেন বাহামার লাকুয়ান নাইরন। তিনিও ৮.০৮ মিটার লাফিয়েছিলেন। কিন্তু ইভেন্টের দ্বিতীয় সেরা জাম্পের বিচারে সোনা পান লাকুয়ান। তাঁর দ্বিতীয় সেরা জাম্প ছিল ৭.৯৮ মিটার। সেখানে শ্রীশঙ্করের দ্বিতীয় সেরা জাম্প ৭.৮৪ মিটার। ফলে রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁকে। পরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অল্পের জন্য সোনা আজ হাতছাড়া হয়েছে। তবে তার জন্য আমার মনে কোনওরকম আক্ষেপ নেই। দেশের হয়ে যে কোনও সম্মান অর্জনই গর্বের। এই সাফল্যকে প্রেরণা করে আগামী দিনে আরও বড় লক্ষ্যের দিকে এগতে হবে। বিশেষ করে, ২০২৪ প্যারিস ওলিম্পিকসে আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে চাই।’ পালাকাড়ের গভর্নমেন্ট ভিক্টোরিয়া কলেজের গণিতের ছাত্র সেই সঙ্গে যোগ করেন, ‘কমনওয়েলথ গেমসে এমন একটা জাম্প দেওয়া দারুণ অনুভূতি। ছোটবেলায় স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময়ে স্বপ্ন দেখতাম, পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে তেরঙা পতাকা শূন্যে তুলে ধরার। আজ তা সত্যি হল। অতীতে প্রায় সব বড় আসরেই চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ স্থানে সীমাবদ্ধ ছিল আমার পারফরম্যান্স। এই পদক তাই স্পেশাল।’ একই ইভেন্টে ৭.৯৭ মিটার লাফিয়ে পঞ্চম স্থান পেয়েছেন আর এক ভারতীয় জাম্পার মহম্মদ আনিস ইয়াহিয়া।
শ্রীশঙ্করের পদক জয়ের পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। প্রথম তিনটি জাম্পে প্রত্যাশার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেননি। চতুর্থ জাম্প এক মিলিমিটারের জন্য ফাউল হয়। ফলে শেষ দু’টি জাম্প তাঁর সামনে হয়ে দাঁড়ায় মরণবাঁচন লড়াই। এই প্রসঙ্গে শ্রীশঙ্কর বলেন, ‘শুরুটা ভালো না হলেও নিজের উপর একবারের জন্য আস্থা হারাইনি। জানতাম, একটা ভালো লাফই পদক নিশ্চিত করার পক্ষে যথেষ্ট। পঞ্চম লাফে সেটাই ঘটেছে।’ শ্রীশঙ্করের বাবা মুরলী ছিলেন প্রাক্তন ট্রিপল-জাম্পার। সাউথ এশিয়ান গেমসে পদকও জিতেছেন তিনি। মা বিজিমল ছিলেন দৌড়বিদ। পারিবারিক পরম্পরা ও বাবার তদারকিতে ভারতীয় অ্যাথলেটিকসে নতুন নক্ষত্রের আলো ছড়াচ্ছেন শ্রীশঙ্কর।