উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
ইংল্যান্ডে শেষ দুই টি-২০ ম্যাচে রোহিত শর্মার সঙ্গী হয়েছিল ঋষভ পন্থ। ভেবেছিলাম ক্যারিবিয়ান সফরেও সেই জুটিকেই দেখা যাবে। কিন্তু অবাক হলাম যে, প্রথম তিন ম্যাচেই ওপেন করল সূর্যকুমার যাদব। যে কিনা চার নম্বরের জন্য আদর্শ ব্যাটসম্যান। কেন যে ওকে দিয়ে ওপেন করানো হচ্ছে বুঝতে পারছি না। পন্থকে দিয়ে করালে তাও একটা মানে ছিল। যে, ডানহাতি-বাঁহাতি জুটিতে চটজলদি লাইন-লেংথ অ্যাডজাস্ট করতে সমস্যা হয় বিপক্ষ বোলারদের। কিন্তু সূর্য তো ডানহাতি, তাহলে কেন হঠাৎ পরীক্ষায় মেতে ওঠা?
এমনিতে সুস্থ থাকলে রোহিতের সঙ্গে লোকেশ রাহুলকেই ওপেনিংয়ে দেখার কথা। কিন্তু রাহুলের ফিটনেস নিয়ে সংশয় থাকছে। দীর্ঘদিন ম্যাচের বাইরেও রয়েছে ও। বিশ্বকাপে খেলতে পারবে কিনা, কেমন ফর্মেই বা থাকবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আমিও। মনে হচ্ছিল, রাহুল না পারলে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে ঈষান কিষানের উপর ভরসা রয়েছে দলের। গত এক বছরে ঈশানকে খেলানোও হয়েছে। এখন ওকে ব্রাত্য দেখাচ্ছে। কেন, তা বুঝতে পারছি না। কখনও পন্থ, কখনও সূর্যকে নামানো হচ্ছে শুরুতে।
আমার একটাই বক্তব্য, বিশ্বকাপ যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে, তখন কেন এত অনিশ্চয়তা থাকবে ওপেনিং নিয়ে। নতুন নতুন জুটি নামানো মানে দলের মধ্যে সংশয়ের জন্ম দেওয়া। এতে সূর্যও তো ঘেঁটে যাচ্ছে। নিজের ভূমিকা ঠিক কী, তা নিয়ে দ্বিধা জন্মাচ্ছে ওর মধ্যে। আমার মতে, বিশ্বকাপে রোহিত, রাহুল, কোহলি, সূর্য ও পন্থকে নিয়ে ব্যাটিং অর্ডার শুরু হওয়া উচিত ভারতের। তারপর হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, দীনেশ কার্তিক। হার্দিক তৃতীয় পেসারের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। এরপর দুই পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও যশপ্রীত বুমরাহ এবং লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল থাক এগারোয়। সেক্ষেত্রে ভারসাম্য বাড়বে দলে।