নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রবিবার মোহন বাগানের বিরুদ্ধে খেলতে চার্চিল ব্রাদার্স কলকাতায় আসছে। আজ বিকেলে কলকাতায় এসে তাঁরা শহরে থাকবে দিন দুয়েক। অনুশীলন করবে সল্টলেকে। চার্চিলের ম্যানেজার ডেঞ্জিল জানালেন, ‘আমরা পূর্ণশক্তির দল নিয়েই কলকাতায় যাচ্ছি। প্রথম ম্যাচ খেলার পর দুটি প্র্যাকটিস সেশন হয়েছে। উইলিস প্লাজা, সিসে সকলেই দলের সঙ্গে যাচ্ছেন। আমরা কল্যাণী যাব শনিবার।’ আই লিগের নিয়ম মতো ওই দিনই সাংবাদিক সম্মেলন হওয়া উচিত। মোহন বাগান কর্তারা চেষ্টা করছেন বিমানবন্দর চত্বরে কোনও হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করা। চার্চিল জানিয়েছেন এমন কোনও জায়গায় প্রেস কনফারেন্সটি করতে যেখান থেকে কল্যাণীতে এক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যায়। রিয়াল কাশ্মীরের মতোই চার্চিলও ম্যাচের আগের দিন এবং ম্যাচের দিন বিশ্রামের উপর জোর দিচ্ছে। তবে মোহন বাগান দল লাল হলুদের মতোই কল্যাণী যাবে রবিবার সকালে। খরচ বাঁচাতেই দুই প্রধান ম্যাচের দিন কল্যাণী যাচ্ছে। মোহন বাগানে না হয় অর্থাভাব আছে। কিন্তু ইস্ট বেঙ্গলের সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর। গত বছর কোয়েস ইস্ট বেঙ্গল যখন যুবভারতী স্টেডিয়ামে খেলত তখন ফুটবলাররা থাকতেন ম্যাচের আগের দিন রাজারহাটের হোটেলে। এখন খেলছে কল্যাণীতে। যাচ্ছে ম্যাচের দিন।
মোহন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা ম্যাচের দিন কল্যাণী যাওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। তিনি এখন ব্যস্ত প্রথম হোম ম্যাচে তিন পয়েন্ট তোলার জন্য। বুধবার দেড় ঘণ্টার অনুশীলনে তিনি জোর দিয়েছেন কম্বিনেশনের উপর। এর পাশাপাশি রক্ষণ মজবুত করার ব্যাপারেও তিনি সতর্ক। কারণ চার্চিলে প্লাজা-সিসে-মাপুইয়ার রোঝাপড়া দুরন্ত।
রবিবারের ম্যাচটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে মোহন বাগানের তিন সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল বুধবার কল্যাণী গিয়েছিল। ম্যাচের সংগঠনের ব্যাপারটি বুঝে নেন মাঠ সচিব ও টেনিস সচিব। নদিয়া পুলিসের সঙ্গে গ্যালারিতে জল সরবরাহর ব্যাপারে স্টেডিয়ামেই আলাদাভাবে কথা বলেন কর্মসমিতির এক সদস্য। মোহন বাগানের সমর্থকদের মধ্যে টিকিটের দারুণ চাহিদা। তবে হাওড়ার সদস্য-সমর্থকদের রবিবারের ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ কিছুটা কম।