মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
অনুশীলনের সময় দিন্দার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি কোচ অরুণ লালকে। সিএবি’র ভিশন টোয়েন্টি-২০ ব্যাটিং পরামর্শদাতা ভি ভি এস লক্ষ্মণের তত্ত্বাবধানে নেটে হাত ঘোরান বাংলার পেসারটি। সন্ধ্যায় অরুণ লাল ফোনে জানান, ‘অনুশীলনের পরেও আমার সঙ্গে দিন্দার কোনও কথা হয়নি।’ তবে দিন্দা দাবি করেছেন, তিনি কোচের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন প্রশ্ন হল, কে সত্যি বলছেন? আপাতত সেই বিচারে না গিয়ে এটাই বলা যায়, দিন্দার প্রত্যাবর্তন বাংলার বোলিংকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে কেরলের বিরুদ্ধে রনজি ট্রফির প্রথম ম্যাচে দিন্দাকে খেলানোর ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি কোচ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু বলব না। নির্বাচকরা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আমার মতামত জানতে চাইলে, জানিয়ে দেব।’ বোঝাই যাচ্ছিল, দিন্দাকে নিয়ে আপাতত ধীরে চলো নীতি নিচ্ছেন কোচ।
প্রথম দিনের অনুশীলনে কেমন অনুভূতি দিন্দার? হাসতে হাসতে তারকা পেসারটি বললেন, ‘ফিল গুড। প্রথম দিন ভালোই কাটল। অনেক দিন পর লাল বলে হাত ঘোরালাম। কাল প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলব। ক্রিকেটার হিসাবে সব সময়ই চাই, মাঠে আসব, খেলব, এটাই আমার পরিচয়। ক্রিকেট ছাড়া অশোক দিন্দা কিছুই নয়। বাংলার জন্য আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। সেখান থেকে সরে আসতে পারব না। সেই কারণেই মাঠে আসা।’ এতদিন কি তাহলে অভিমান হয়েছিল? ‘অভিমান নয়। খেলব কি, খেলব না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। তাই একটু সময় লাগল।’
বাংলা দল এখন ম্যাচ প্র্যাকটিসের উপর বেশি করে জোর দিচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে অনুশীলন। এই মরশুমে সীমিত ওভারের টুর্নামেন্টগুলিতে ভালো পারফর্ম করতে পারেনি বাংলার ছেলেরা। কোচ অরুণ লাল বললেন, ‘কঠোর অনুশীলন করছে ছেলেরা। মাঠে নেমে সেরাটা মেলে ধরতে পারলে ভালো করব আমরা। মনোজ তিওয়ারির বড় রান পাওয়া খুবই দরকার। ১৪ ডিসেম্বর কেরলে খেলতে যাব। তার আগে ছেলেদের নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে একটা স্পেশ্যাল ক্লাস করানোর ইচ্ছা রয়েছে। সৌরভের ভোকাল টনিক দলের মনোবল বাড়াবে বলেই আমার বিশ্বাস।’