নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমবার টি-২০’তে ভারতের হারের জন্য অনেকেই দায়ী করেছেন ঋষভ পন্থকে। নেটিজেনদের স্পষ্ট কথা, রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে উইকেটরক্ষক ঋষভ দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারেননি। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত গুণতে হয়েছে ‘টিম ইন্ডিয়া’কে। তবে তরুণ উইকেটরক্ষক ঋষভকে সাধ্য মতো আড়াল করার চেষ্টা করেছেন রহিত। তিনি বলেছেন, ‘ঋষভের বয়স কম। এগুলো বোঝার জন্য ওকে আরও সময় দিতে হবে। ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে ও কতটা বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারছে, তা বিচার করার সময় এখনও আসেনি। আর রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে উইকেটরক্ষকের পাশাপাশি ফিল্ডার ও বোলারের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়। ভবিষ্যতে আমাদের এই বিষয়ে আরও সজাগ থাকতে হবে। অনভিজ্ঞতার কারণে আমাদের হারতে হয়েছে।’
তবে রহিত শর্মা যাই বলুন, প্রথম টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল কোনও বিভাগেই সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারেনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ডিপ মিড উইকেটে মুশফিকুরের সহজ ক্যাচ ফেলে বাংলাদেশের হাতে ম্যাচ তুলে দেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। যা নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন তিনি। ১৯তম ওভারে শেষ চারটি ডেলিভারিতে বাউন্ডারি উপহার দিয়ে ‘খলনায়ক’ খলিল আহমেদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হচ্ছে, ‘কীভাবে ম্যাচ হারাতে হয়, সেটা খলিলের থেকে শেখা উচিত।’ আরও এক সমর্থক পোস্ট করেছেন, ‘খলিল হলেন ভারতের নতুন ফিনিশার।’ অতীতে ভারতীয় দলের স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন হিসাবে রহিত দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই নিধাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন হিসাবে ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছেন রহিত। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচে তাঁর একাধিক ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হয়েছে ভারতকে। রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থকে দায়ী করা ঠিক হবে না। ক্যাপ্টেন হিসাবে রহিত বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারেননি। শিবম দুবের মতো অলরাউন্ডারকে ঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। তাঁকে একেবারে অন্তিম ওভারে বল করতে দেওয়া হয়। যখন ম্যাচ নাগালের বাইরে। দীপক চাহার বেশ বল স্যুইং করাচ্ছিলেন। তবুও খলিল আহমদের উপর অতিরিক্ত ভরসা করতে গিয়ে ডুবেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। খলিল ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়েছেন। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জেতার পর বাংলাদেশ প্রথমে ফিল্ডিং নেয়। বিরাট কোহলির অবর্তমানে তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে, সেটা বোঝা উচিত ছিল রহিতের। কিন্তু প্রথম ওভারেই তিনি আউট হয়ে যাওয়ায় ‘টিম ইন্ডিয়া’ চাপে পড়ে যায়। লোকেশ রাহুলের মতো টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানও উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন। শ্রেয়াস আয়ার শুরুটা ভালো করেও বাজে শট খেলে আউট হন। তার ফলে ভারতের রানের গতি মন্থর ছিল। শেষ দু’ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দর ও ক্রুনাল পান্ডিয়া জোড়ো ব্যাটিং না করলে কোনওভাবেই ১৪৮ রানে পৌঁছাতো না ভারতের স্কোর। বোলিংয়ে অনভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট ধরা পড়েছে। আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপের আসর বসবে অস্ট্রেলিয়ায়। আপাতত ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে সবাইকে খেলিয়ে দেখে নিতে চাইছে। তবে প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্সের নিরিখে, এই বোলিং নিয়ে বিশ্বকাপে ভালো ফলের আশা না করাই ভালো।
এদিকে, ভারতীয় দলকে আরও চাপে ফেলে দিয়েছে ঘূর্নি ঝড় ‘মহা’। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচটি হবে রাজকোটে ৭ নভেম্বর। কিন্তু হাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, সাইক্লোন ‘মহা’ ৬ নভেম্বর গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়বে। ম্যাচের দিন প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা জয়দেব শাহ জানিয়েছেন, ‘আমরা সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছি। গোটা মাঠ ঢাকা দেওয়া রয়েছে। শুনেছি, অভিমুখ বদলে সাইক্লোন মহা ক্রমশ কেরলের দিকে এগোচ্ছে। যদি কোনও বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তাহলে ম্যাচ করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে।’