কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
জলঢাকার প্রবল স্রোত উপেক্ষা করে জলে নেমে চালায় তল্লাশি। যা অনেক দূর থেকে দেখেন গ্রামবাসীরা। রাত থেকে খোঁজ চালালেও সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও শাবকের সন্ধান পায়নি হাতি দু’টি। সন্তানের সাড়া পেতে মাঝেমধ্যে ডাকতেও শোনা যায়।
কিন্তু, কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি। সন্তানের জন্য হাতির মাঝনদীতে নেমে তল্লাশি দেখতে নিরাপদ দূরত্বে থেকে ভিড় করে এলাকাবাসী। অনেকেই কর জোরে প্রার্থনা করেন যাতে শাবকের খোঁজ পায় হস্তীযুগল। কিন্তু, পাওয়া গেল না। সকাল থেকেই নদীর পাড়ে ছিলেন সুলকাপাড়া পঞ্চায়েত সদস্য সুদামা ওরাওঁ। তাঁর কথায়, মর্মান্তিক ঘটনা। সন্তান হারার যন্ত্রণায় হাতি দু’টি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঝনদীতে নেমে পড়ে।
বনকর্মীরা সকাল থেকে ঘটনাস্থলে ছিলেন। নাগরাকাটার বিট অফিসার ইমরান ইসলামের নেতৃত্বে দিনভর বনকর্মীরা হাতি দু’টির উপর নজর রাখেন।
বিকেল পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শাবকের সন্ধান না পেয়ে সন্ধ্যায় নাগরাকাটা ফরেস্ট বিটের ১২ নম্বর সেকশনের জঙ্গলে চলে যায় হাতি দু’টি। সকাল ৬টা নাগাদ গ্রামবাসী জলঢাকা নদী সংলগ্ন এলাকায় এলে দেখতে পান, দু’টি হাতি দফায় দফায় জলঢাকা নদীতে নামছে আর ডাঙার দিকে আসছে। এদিক ওদিক কিছু খোঁজাখুজি করছে। কখনও জলঢাকা রেল সেতুর নীচে চলে যাচ্ছে।
আবার কখনও পাড়ে উঠে আসছে। নাগরাকাটার বিট অফিসার ইমরান ইসলাম বলেন, আমাদের অনুমান, নদী পারাপারের সময় কিছু একটা অঘটন ঘটেছে। না হলে হাতি দু’টি এভাবে নদীতে কিছু খোঁজাখুঁজি করত না। আমরা হাতি দু’টির উপর নজর রাখছি। শাবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।