কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিস চারজনকে তুলে থানায় নিয়ে যেতেই আশেপাশের এলাকা থেকে দু’শোর বেশি লোক থানায় পৌঁছে যান। খবর পেয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অভয়া দাস এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপন জানা সহ তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের নেতারা হাজির হন। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা চারজনকে নিঃশর্তে ছাড়ার দাবি তোলেন। অপরদিকে, পুলিস ওই চারজনকে ছাড়তে রাজি হয়নি। সারারাত এনিয়ে টানাপোড়েন চলে। সকাল ৭টা নাগাদ ওই চারজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিস শাসক দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ।রবিবার সকাল থেকে এলাকা থমথমে ছিল। ময়না ব্লক তৃণমূল পার্টিঅফিস সংলগ্ন চন্দন অধিকারীর বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন এএসআই বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য। রবিবার সকালে ময়না থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা ওই ভাড়াবাড়ি থেকে পুলিস অফিসারের মালপত্র বের করে ট্রেকার ও পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যান। যদিও ওই অফিসার এদিন আর ভাড়াবাড়িতে আসেননি। থানা সংলগ্ন অন্যজনের বাড়িতে তাঁর জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছেন ওই এএসআই।
ওই ক্লাবের কর্মকর্তারা বলেন, ভারত জেতার আনন্দে সকলেই হইহুল্লোড় করছিলেন। অত রাতে মানুষজন বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে আনন্দে ভেসেছিলেন। সেইসময় রাস্তার উপর চকোলেট বোমা ফাটানো হয়েছিল। তাতেই ওই পুলিস অফিসার বেরিয়ে এসে আপত্তি তোলেন। এনিয়ে দু’-এক কথা হতে না হতেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। তিনি ঘরের মধ্যে ফিরে গিয়ে আধা সেনা ডেকে নেন। তারপর নির্বিচারে লাঠি চালানো হয়। সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে এরকম হতে পারে, কেউ কল্পনা করতে পারেনি।
জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অভয়া দাস বলেন, বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে ছেলেরা পটকা ফাটিয়েছিল। তাতে ওই পুলিস অফিসার বিরক্ত হন। তানিয়ে একটা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে আমিও থানায় যাই। অফিসার ইনচার্জও আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। শেষমেশ সকাল ৭টা নাগাদ চারজনকে ছাড়া হয়েছে।
ময়না থানার ওসি কাজল দত্ত বলেন, শব্দবাজি ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। সেই বিষয়টি আমাদের ওই অফিসার বলতে চেয়েছিলেন। সেসময় কয়েকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। তা থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত।