কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় ঘাটালের একাংশের এবং হুগলির বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের বছরভর যাতায়াত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ঝুমি নদীতে যখন কম জল থাকে, তখন ওই এলাকার দু’কিলোমিটারের মধ্যে নদীর উপর পাঁচটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করতে হয়। কয়েক মাস ওই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত সম্ভব হলেও প্রত্যেক বছর বর্ষায় নদীতে পানার চাপে সবক’টি বাঁশের সাঁকো ভেঙে যায়। ফলে ভরা নদীতে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা থাকে নৌকা।
ওই নদীর উপর ব্রিজ তৈরির জন্য চার-পাঁচ দশক ধরে আন্দোলন চলছিল। মনশুকার বাসিন্দা আইনজীবী অনুপকুমার সামন্ত বলেন, বাম আমলে ব্রিজ তৈরির জন্য বহুবার সার্ভে হয়েছিল। পুরোটাই ছিল লোক দেখানো। কাজের কাজ কিছু হয়নি। অবশেষে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি একটি ব্রিজ নির্মাণে কাজ শুরু হয়। ব্রিজের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল ১৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। প্রোজেক্ট অনুযায়ী ব্রিজটি চওড়ায় হওয়ার কথা সাত মিটার ৮০০ সেন্টিমিটার, লম্বায় ১২৮ মিটার। ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হওয়ার পরেই কিছু সমস্যার জন্য পরে ব্রিজটির সংশোধিত প্ল্যান অনুমোদিত হয়। যার জন্য ব্রিজ তৈরির বাজেট আরও কিছুটা বেড়ে যায়।
বিকাশবাবু বলেন, বর্তমানে ব্রিজ তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। কিন্তু ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সংযোগকারী রাস্তা তৈরি করতে বহু মানুষকে ব্যক্তিগত জমি দিতে হবে। সেগুলি মূলত পতিত বা কৃষিজমি। তাই সেই জমি পেতে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করতে গেলে মোট তিনটি বসত বাড়ি এবং একটি শ-মিলকে সরাতে হবে।
এদিন আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিরা ওই সমস্ত জমির মালিক এবং বাড়ির মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আধিকারিকরা বলেন, প্রত্যেকেই বৃহৎ স্বার্থে রাস্তা তেরির জন্য জমি ছাড়তে রাজি। বাড়ি ও কাঠ মিলের মালিকও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের শর্তে রাজি হয়েছেন। সভাধিপতি বলেন, ব্রিজ তৈরিতে সে অর্থে আর কোনও সমস্যা থাকছে না। ব্রিজটি যাতে দ্রুত তৈরি হয়, তারজন্যও ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কিশোরচক, বনহরিসিংহপুর, দৌলতচক, তুলসীরামপুর, রসিকপুর, খরকপুর সহ হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের চাষিদের সুবিধে হবে। চাষিরা জানান, ওই ব্রিজটি হলে তাঁদের উৎপন্ন সব্জি সহজে ঘাটালের বাজারে এনে বিপণন করার সুযোগ থাকবে। এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতিও হবে। দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে।