কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
রাজ্যজুড়ে জবরদখলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো জেলায় জেলায় এধরনের নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কাজ চলছে। এরকম সময়ে বিজেপি পরিচালিত নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত মাথাপিছু ৫০-৬০হাজার টাকার বিনিময়ে ড্রেনের উপর বিল্ডিং তোলার অনুমতি দিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় মঙ্গল সাউ, জয়দেব মণ্ডল, অনন্ত মণ্ডল, বুলাশ্যাম মণ্ডল সহ মোট সাতজন বেআইনিভাবে নির্মাণ কাজ করছেন। পঞ্চায়েতকে টাকা দিয়ে তাঁরা সোনাচূড়ায় রাস্তার ধারে ড্রেনের উপর নির্মাণ কাজ করছেন বলে কেউ কেউ স্বীকার করছেন। আর এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
সোনাচূড়ার বাসিন্দা বাপন দাস ড্রেনের উপর অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম-১বিডিও অফিসে অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে প্রশাসন অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়। তারপরই নন্দীগ্রাম-১বিডিও অফিস থেকে নির্মাণকাজে যুক্ত দু’জনকে নোটিস পাঠায়। ২জুলাই তাঁদের অফিসে তলব করা হয়েছে। প্রশাসনিক নোটিস উপেক্ষা করলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিডিও। সোনাচূড়ায় বুলাশ্যামের চা, পান ও বিস্কুটের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের পিছনে ড্রেন দখল করে নির্মাণ কাজ হচ্ছে। এনিয়ে বুলাশ্যাম মণ্ডল বলেন, প্রশাসন থেকে কোনও নোটিস পাইনি। আমরা নিয়ম মেনে নির্মাণ কাজ করছি।
সোনাচূড়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবকুমার রায় বলেন, সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি নানাভাবে অনিয়মের জড়িয়ে পড়ছে। সরকারি জায়গা এবং ড্রেনের উপর নির্মাণ কাজে মদত দিচ্ছে। অর্থের বিনিময়ে এটা হচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। প্রশাসন মোট দু’জনকে নোটিস ইস্যু করেছে। কিন্তু, সাতজন এই নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। আমরা চাই, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে ড্রেনের উপর নির্মাণ কাজ বন্ধ হোক।
বিজেপি পরিচালিত সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিউলিরানি পাত্র দাস বলেন, যাঁরা নির্মাণ কাজ করছেন তাঁদের ওই এলাকায় জমি রয়েছে। আগের বোর্ড এই নির্মাণ কাজের অনুমতি দিয়ে গিয়েছে। আমরা টাকা দিয়ে নির্মাণে অনুমতি দিয়েছে এর স্বপক্ষে তৃণমূল পারলে প্রমাণ দিক।
নন্দীগ্রাম-১বিডিও সৌমেন বণিক বলেন, সোনাচূড়ায় কংক্রিটের ড্রেনের উপর ইটের ঘর তোলা হচ্ছে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর নোটিস দিয়েছি। কোনও অবস্থায় এই কাজ করতে দেওয়া হবে না।