কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
রাজ্য সরকার বীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়ার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। চাষিদের ভিনরাজ্যের বীজের উপরে নির্ভর করতে হবে না। ব্লকস্তরে চাষিদের নিজের উদ্যোগে উন্নত মানের ধানের বীজ উৎপাদন করা যাবে। এই উদ্যোগ সফল করতে কৃষিদপ্তর চাষিদের বীজের গুণগত মান বজায় রাখার এবং প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেবে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র সরকারি কৃষি খামারগুলিকে এতদিন বীজ উৎপাদনের জন্য বেছে নেওয়া হতো। বীজ উৎপাদনের কাজে কৃষকদেরও এবার যুক্ত করা হবে। বীজ উৎপাদন যে ফসল উৎপাদনের মতোই লাভজনক তা চাষিদের মধ্যে প্রচার করা হবে।
প্রয়োজনে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অনুর্বর জমিকে মূলত বীজ উৎপাদনের কাজে ব্যাবহার করা হবে। জেলা কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, হুগলি জেলা কৃষি প্রধান এলাকা। চাষিদের একটি বৃহৎ অংশ ধান, তিল, বাদাম ও সর্ষে চাষের সঙ্গে যুক্ত। উন্নতমানের বীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হলে চাষিরা উপকৃত হবেন। তিনি আরও বলেন, কৃষকদের প্রশিক্ষিত দল বিভিন্ন ফসলের বীজ উৎপাদনে জড়িত থাকবে। এই উদ্যোগে বীজ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় জাতের বীজগুলোকে নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজের সঙ্গে সঙ্কর করা সম্ভব হবে। স্থানীয় আবহাওয়ার মধ্যে তৈরি হওয়া বীজের চাষ হলে ফলন ভালো হবে। এছাড়া সময়মতো বীজের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে। হুগলি জেলার কৃষি উপ অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মুর্দ্রান্য বলেন, হুগলি জেলার ১৬টি ব্লকে বীজগ্ৰাম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আরামবাগ মহকুমার চারটি ব্লকেও বীজগ্ৰাম তৈরির কাজ চলছে। খরিফ শস্যের জন্য কুড়ি হেক্টর জমি নিয়ে এক একটি বীজগ্ৰাম তৈরি করা হচ্ছে।
ন্যূনতম পঞ্চাশজন কৃষক এখানে যুক্ত থাকবেন। এছাড়াও জেলাজুড়ে তিল, বাদাম ও সর্ষের জন্য ১৭টি বীজগ্ৰাম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগে জেলার চাষিরা উপকৃত হবেন। পুরশুড়ার চাষি আশুতোষ মাইতি বলেন, এখন বীজতলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ‘যমুনা’ ধানের বীজ ৯০ টাকা কেজিতে কিনেছি। অনেকে স্বর্ণ মাসুরি বীজও লাগান।
পুরশুড়া ব্লক অফিস সংলগ্ন কৃষি ফার্ম থেকে আগে ধান, গম ও আখের বিজ পাওয়া যেত। এখন আর সেরকম পাওয়া যায় না। দোকান থেকে বীজ কিনতে হয়। চাষিদের নিয়ে বীজগ্ৰাম তৈরি হলে ভালোই হবে। গোঘিটের শ্যামবল্লভপুর এলাকার চাষি পলাশ কুণ্ডু বলেন, আমাদের এদিকে ধানের সঙ্গে বাদাম ও তিলের চাষ ভালো হয়। স্থানীয় আবহাওয়ার মধ্যে বীজ তৈরি হলে তার গুণমান ভালো হবে। ফসল উৎপাদনের পরিমাণও বাড়বে । কৃষিদপ্তর যে উদ্যোগ নিচ্ছে তাতে চাষিরা উপকৃত হবেন।