কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্রের জন্য দুটি আলাদা স্ট্রং রুম করা হয়েছে। বীরভূম কেন্দ্রের জন্য সিউড়ি রামকৃষ্ণ শিল্প বিদ্যাপীঠ ও বোলপুর কেন্দ্রের জন্য বোলপুর কলেজ। ৪ জুন সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু। রুমের সামনে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। মাঝে আধা সামরিক বাহিনীর একটা স্তর ও গণনা কেন্দ্রের বাইরে রাজ্য পুলিস। একেবারে বজ্রআঁটুনি। প্রতিটি বিধানসভায় ১৮ জন করে দলীয় এজেন্ট থাকবেন। কমিশনের নিয়মানুযায়ী কোনও স্কুল শিক্ষক এই ক্ষেত্রেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এজেন্ট হিসেবে যাঁরা থাকবেন তাঁদের পরিচয়পত্র আগেই জমা নিয়ে নেবে কমিশন। সেই মোতাবেক এজেন্টদের তালিকা সব দলই প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সকালে গণনাকেন্দ্রে পৌছতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য আগেভাগে হোটেলে থাকার ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ। লোডশেডিং, ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলার যাতে সুযোগ না থাকে সেই ব্যবস্থা করে রেখেছে কমিশন। প্রশাসনের আধিকারিকরা আগামি কাল এই নিয়ে বিশেষ বৈঠক ও প্রশিক্ষণ শিবিরও করবে বলে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক অফিসার বলেন, কোনও ফাঁকফোঁকর নেই। ভোটগ্রহণ যেমন শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে, গণনাও তাই হবে। রাজনৈতিক দলগুলিকেও সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বীরভূম কেন্দ্রে আরও দু’জন অবজার্ভার থাকছেন।
এদিকে, ভোটের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রতিটি দলই। সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, অঙ্ক যা করার করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফলের দিন যত এগিয়ে আসে তত চিন্তা বাড়ে তো। তবে যেহেতু এবার দলের সমস্ত স্তরের কর্মীরা ভোট করিয়েছেন তাই ভালো ফলাফল যে হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। বুদ্ধিমান ভোটের মারপ্যাঁচ জানা কর্মীরাই এজেন্ট হিসাবে গণনার দিন থাকছেন। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, মানুষ তাঁদের রায় জানিয়ে দিয়েছে। এবার গণনার জন্য অপেক্ষা। দলের প্রশিক্ষিত এজেন্টরা ওইদিন কেন্দ্রের ভেতরে থাকবেন।