কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম প্রীতম দেবনাথ, সমীর রায়, লাল্টু সরকার ও উত্তম দাস। তাদের মধ্যে প্রীতম দেবনাথের বাড়ি কোড়াবাড়ি গ্রামেই। প্রীতমই ডাকাত দলের টিপার হিসেবে কাজ করত। ধরা পড়া বাকি তিনজনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, গোপালনগর ও বাদুড়িয়ায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে গৌরবাবুর বাড়ির এলাকায় রেইকি করে দলের অন্যান্যদের খবর পাঠিয়েছিল প্রীতম। পরিকল্পনামাফিক শুক্রবার রাতে কোড়াবাড়ি গ্রামে জড়ো হয় দলটি। ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে গত সোমবারই সন্দেহভাজন হিসেবে প্রীতমকে আটক করে গাংনাপুর থানার পুলিস। এরপর তাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে বাকি অভিযুক্তদের হদিশ মেলে।
আগে থেকেই মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনার পুলিসকে সতর্ক করেছিল নদীয়া জেলা পুলিস। গত মঙ্গলবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও গোপালনগর থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্তদের ঠিকানায় হানা দেয় গাংনাপুর থানার পুলিসের দল। বাড়ির এলাকা থেকেই পুলিসের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে সমীর রায় ও লাল্টু সরকার। এরপর বুধবার বাদুড়িয়া থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে ডাকাতির ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত উত্তম দাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া সামগ্রীও। ধৃতদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিস ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায়। বিচারক ১০ দিনের জন্য তা মঞ্জুর করেন।
পুলিস জানিয়েছে, ডাকাতির ঘটনায় ছ’জন যুক্ত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু টিপার প্রীতমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ওই ডাকাত দলটি সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য সামনে আসে।
তবে গাংনাপুরের ডাকাতির ঘটনাই প্রথম নয়, এর আগেও ধারাবাহিকভাবে জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন থানা এলাকায় ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ের মতো অভিযোগ রয়েছে কুখ্যাত এই ডাকাত দলটির বিরুদ্ধে। জেরার মুখে অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি, আগামীতেও আরও বেশকিছু জায়গায় ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল দলটির। রানাঘাট জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, এই দলের আসল চাঁইকে খুব শীঘ্র জালে তোলা সম্ভব হবে। চারদিনের মাথায় মূল চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস এই তদন্তে অনেকটাই সাফল্য পেয়েছে।