সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
নলহাটির বৈধরা, জয়পুর এলাকায় ব্রাহ্মণী নদী থেকে অবাধে বালি তোলা হচ্ছে। জয়পুরে বিশাল এলাকাজুড়ে বালি মজুত করা হচ্ছে। লাগোয়া ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ব্রাহ্মণী নদী থেকে তোলা বালিও সেখানে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে লরি ও ট্রাক্টরে বালি পাচার করা হচ্ছে।
মুরারইয়ের পারকান্দি, সাবাইপুর গ্রামের কাছে বাঁশলৈ নদী থেকেও বালি তোলা হচ্ছে। ট্রাক্টরে সেই বালি তুলে ওই এলাকা ছাড়াও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বস্তায় ভরে মোটরভ্যানে চাপিয়েও বালি পাচার চলছে। দু’দিন আগেই স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিসের নজরে এনেছিলেন। অনেকসময় ট্রাকে অতিরিক্ত বালি মজুত করেও পাচার হচ্ছে। বৈধ কাগজ আছে কিনা, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিনা-তা দেখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পুলিসকর্মীরা এখন ভোটের ডিউটিতে ব্যস্ত। সেই সুযোগে অবাধে বালি পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুরারই বাজারের ভিতর দিয়ে দিনেরবেলায় লাইন করে ওভারলোডেড বালিবোঝাই ট্রাক্টর যাচ্ছে। একই ছবি নলহাটির বৈধরা এলাকায় দেখা যাচ্ছে। সেখানে দিনরাত ট্রাক ও ট্রাক্টরে বালি পাচার হচ্ছে। ওই এলাকায় ব্রাহ্মণীর বেশ কয়েক জায়গায় বালি শেষ হয়ে মাটি উঠে আসছে। যে কয়েক জায়গায় বালি অবশিষ্ট রয়েছে, সেখান থেকে বালি তুলে আগামী বর্ষার জন্য মজুত করতেও দেখা যাচ্ছে। নলহাটি থেকে রুদ্রনগর হয়ে পাইকর যাওয়ার রাস্তার ধারে বহু জায়গায় বালি মজুত করা শুরু হয়েছে।
বালি পাচারে রাজনৈতিক মদতের অভিযোগও তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে দুই দল। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, দুর্নীতিবাজ কারা-তা সবাই জানেন।
তৃণমূল নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে বিজেপির নাম জড়াচ্ছে। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ভাবছে, ওরাই ক্ষমতায় আসছে। তাই নদনদী থেকে বালি তুলে পাচার শুরু করেছে। প্রশাসনকে বলব, অবিলম্বে সমস্ত অবৈধ বালিঘাট বন্ধ করা হোক।