সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা তথা এলাকার তৃণমূল নেতা অরূপ মিদ্যা বলেন, জঙ্গল এই এলাকার সম্পদ। তা এভাবে নষ্ট করা উচিত নয়। কিছু অসাধু মানুষ নিজেদের স্বার্থের জন্য এসব করছে। প্রশাসনের বিষয়টি দেখা উচিত। বালি কোথা থেকে আসছে সেটাও তদন্ত করে দেখা উচিত। নিয়ম মেনে নদী থেকে বালি তোলা হলে এভাবে কখনওই তা জঙ্গলে মজুত করত না।
স্থানীয়রা বলেন, বর্ষার আগে মাফিয়ারা নদী থেকে বালি তুলে তা বিভিন্ন জায়গায় মজুত করে। চাষের জমি নষ্ট করেও অতীতে এই জেলায় বালি মজুত করা হয়েছে। গলসি এলাকায় এধরনের অভিযোগ হামেশাই ওঠে। স্থানীয়রা বারবার অভিযোগ করলেও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নেয় না। মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এভাবে চলতে থাকলে জঙ্গলের বহু গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। আউশগ্রামের জঙ্গলে ছোট ছোট গাছ রয়েছে। সেগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বালিভর্তি ট্রাক যাতায়াত করার ফলে জঙ্গল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে দেখছি। এরকম হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সব জায়গায় বালি মজুত করা যায় না। জঙ্গলের মধ্যে বালি মজুত করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
জেলার বাসিন্দারা বলেন, ভোটের মরশুমে অজয়, দামোদর থেকে দেদার বালি তোলা হচ্ছে। গলসি, মঙ্গলকোট, খণ্ডঘোষ সহ সব জায়গাতেই এই কারবার চলছে। সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের দাবি, বালির ঘাটগুলিতে লাগাতার অভিযান চলছে। কোথাও অবৈধভাবে বালি মজুত করা হলেও পদক্ষেপ করা হয়।