সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, ভিজিল্যান্সের সদস্যরা এসেছিলেন হাসপাতালে। তাঁরা ২০১৭ সালের বেশ কিছু টেন্ডারের বিলের নানা তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। ভেরিফিকেশন করছেন তাঁরা। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালকে আগেই রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনের অ্যান্টি করাপশান ইউনিট থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ২০১৭ সালের ওষুধ ও নানা চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার টেন্ডার, রোগীর আত্মীয়দের জন্য বিশ্রাম ঘর তৈরির টেন্ডার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এছাড়া সাইকেল স্ট্যান্ড, লন্ড্রি সার্ভিস, গাড়ি ভাড়ার নানা টেন্ডার সহ ৮টি এনআইটি-র তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। টেন্ডার ডেকেছিল কোন অথরিটি, কমিটির পদাধিকারীদের নাম কী, কাজের ওয়ার্ক অর্ডার কে দিয়েছিল—ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে ভিজিল্যান্স থেকে।
২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বরে হাসপাতাল স্টাফদের জন্য লাঞ্চ প্যাকেটের বিল জমা পড়েছে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৫০ টাকা। ওই বছরেরই ১২ নভেম্বর প্রতিদিন পরিষ্কারের জন্য শ্রমিক মজুরি বাবদ দু’দফায় বিল জমা পড়েছে ২ লক্ষ ১৭ হাজার ২৭৩ টাকা। এসব বিল নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। ভিজিল্যান্স থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কোন পদ্ধতিতে এসব ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। তার পুরো নথি চাওয়া হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার আগে কোনও কমিটি গঠন করা হয়েছিল কিনা, এসি মেশিন কেনার টেন্ডার ডাকা হয়েছিল কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে এর আগেও একাধিকবার বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের নানা টেন্ডারে বেনিয়মের অভিযোগ আগেই রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরে জমা পড়েছিল। স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে সেসব টেন্ডারের বিলের তদন্তের ভার রাজ্য পুলিসের ভিজিল্যান্সকে দেওয়া হয়। এদিন ভিজিল্যান্সের দুই সদস্য হাসপাতালের সুপারের ঘরে বসে এক কর্মীর কাছে নানা তথ্য জানতে চান। তাঁরা এও জানতে চান হাসপাতালের কোনও ফাইল ‘হারিয়ে’ গেলে থানায় ক’টি এফআইআর রুজু করা হয়েছে।