সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
মঙ্গলবার মোহনপুর থানার নীলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে হুডখোলা গাড়িতে প্রচার করেন জুন। সেখানে আঠারবাটিয়া, দোবাড়িয়া গ্রামে যখন তিনি প্রচার করছেন, তখন রাস্তার দু’ধারে কাতারে কাতারে মহিলারা জুনকে দেখতে ভিড় করেন। তাঁরা ফুল ছড়িয়ে প্রার্থীকে বরণ করে নেন। রাস্তার একদিকে পশ্চিমবঙ্গ, অপরদিকে ওড়িশা। তাই পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সঙ্গে ওড়িশার বেলবাড়িয়া, আড়িনগা গ্রামের মহিলারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রার্থীকে দেখতে পেয়ে তাঁর কাছে ছুটে যান সেরাজ্যের বেলবাড়িয়া গ্রামের কবিতা পড়্যা, মিনতি পড়্যারা। চিৎকার করে বলেন, আমাদের ওড়িশার গ্রামের মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পায় না। আপনাদের রাজ্যের মহিলারা পায়। আমাদের সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
এই কথা শুনে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে যান প্রার্থী। এরপর তাঁদের কাছে ডেকে নিয়ে বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে গেলে এরাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে। আর না হলে দিদিকে ভোটে জিতিয়ে দিল্লিতে পাঠাতে হবে। দিদি প্রধানমন্ত্রী হলে সারা দেশজুড়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু হবে। তাই তৃণমূলকে জেতাতে আপনারও প্রচারে সহযোগিতা করুন।
২০২১ সালে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের মহিলাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন। এবার এই প্রকল্পে সুবিধাভোগী মহিলাদের প্রাপ্য টাকার পরিমাণ বাড়িয়েছেন তিনি। প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশাতে মহিলাদের জন্য তেমন কোনও প্রকল্প নেই। এবারের ভোটে এই সমস্ত এলাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
শনিবার মোহনপুর ব্লকের পাশাপাশি নারায়ণগড়, দাঁতন-১ ও কেশিয়াড়ি ব্লকে প্রচারে যান জুন। নারায়ণগড়ের বেলদায় একটি পদযাত্রায় পা মেলান। সেখানে নারায়ণগড়ের বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট উপস্থিত ছিলেন। দাঁতনের সোনাকোনিয়া, আঙ্গুয়া সহ কেশিয়াড়ির নছিপুর ও গগনেশ্বর এলাকাতেও জুন প্রচার করেন। প্রার্থীর সঙ্গে কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মু, দাঁতন-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রতুল দাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক মণিশঙ্কর মিশ্র, মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদিকা কল্পনা শীট, মোহনপুর ব্লক সভাপতি মানিক মাইতি সহ অন্য নেতৃত্ব প্রচার করেন।-ফাইল চিত্র