সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
মঙ্গলবার দুপুরে অগ্নিমিত্রা পলের সমর্থনে প্রচারে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী। মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট মোড় থেকে রোড শো শুরু করেন তিনি। ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ খ্যাত নিজেদের প্রিয় অভিনেতাকে দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় শহরে। রোড শোয়ে ডিজে বক্সে শুধুই বাজছিল মিঠুনের হিট সিনেমার গান। রোড শো চলাকালীনই কেরানিতলা সংলগ্ন শেখপুরা যাওয়ার রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন তৃণমূলের ছাত্র, যুব কর্মীরা। হাতে প্ল্যাকার্ড, জলের বোতল উঁচিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘জাত গোখরো’, ‘চন্দ্রবোড়া’। বোতলের উপরে সাদা টুকরো কাগজের উপরে লেখা ছিল ‘কার্বোলিক অ্যাসিড’। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, মিঠুন তো নিজেকে ‘জাত গোখরো’ বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তারই প্রতিবাদ হিসেবে কার্বোলিক অ্যাসিড। সাপ তাড়াতে যা ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে, এনিয়েই যত গণ্ডগোল। পোস্টার দেখে চটে যান বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, এরপরেই তৃণমূল কর্মীদের উপর জল ছেটাতে থাকেন। তারপর জলের বোতল, ইট, পাথর, এমনকী জুতো ছুড়েও মারতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা তৃণমূল কর্মীরাও বোতল, পাথর ছুড়তে থাকেন। প্রচার গাড়ি থেকে জুতো, বোতল না ছোড়ার অনুরোধ করেন অগ্নিমিত্রা। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপরেই তৃণমূল কর্মীদের দিকে তেড়ে যায় বিজেপি কর্মীরা। চার্চ স্কুল পর্যন্ত তাড়া করতে থাকে। অনেকে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়। কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে নাগালের মধ্যে পেয়ে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় দু’জন হাসপাতালে ভর্তি। এনিয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায় বলেন, ‘এই বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য দায়ী তৃণমূল। আমি ওই তৃণমূল কর্মীদের বারংবার হাত জোড় করে অনুরোধ করেছিলাম, ভাই তোরা এইসব করিস না। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই কাণ্ড ঘটাল।