কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
পুরসভার চেয়ারম্যান ভরত ঝাওর বলেন, ট্রাকগুলি জাতীয় সড়কের উপর সার দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। তারফলে দুর্ঘটনাও হামেশাই হতো। সেই কারণেই আমরা ট্রার্মিনাস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিভিন্ন ধরনের যানবাহন সেখানে রাখা যাবে। চালকরাও সেখানে নিরাপদে থাকতে পারবেন। গারমেন্ট হাব চালু হতে চলেছে। তাই ট্রাক ট্রার্মিনাসটি তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি ছিল। গাড়িগুলি সেখানে থাকলে হাটে ঢোকা বা বেরনোর সময় যানজটও হবে না।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রার্মিনাসে পার্কিংয়ের জন্য বড় গাড়ির ক্ষেত্রে ১০০টাকা ও ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে ৫০টাকা নেওয়া হবে। ওই টাকা পুরসভার নিজস্ব তহবিলে জমা হবে। পরে তা উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা হবে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বেলডাঙায় কাপড়ের হাট বহু পুরনো। মুর্শিদাবাদ ছাড়াও বীরভূম, নদীয়া, হুগলি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা সেখানে আসেন। সোমবার বাইরে থেকে ট্রাকে কাপড় আনা হয়। রাতভর হাট চলে। ট্রাকগুলিও হাটের কাছে জাতীয় সড়কের পাশেই রাখা হতো। স্থানীয়রা বলেন, বাইরে থেকে আসা চালকরা অনেক সময় রাস্তার উপরেই রান্না করত। ওই ট্রার্মিনাসটি চালু হয়ে গেলে তাঁদের রান্না করার দরকার হবে না। এছাড়া দূর থেকে আসা চালকদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা থাকত না। সারারাত ট্রাকের মধ্যেই কাটাতে হতো। সেই সমস্যাও দূর হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, বেলডাঙায় গারমেন্ট হাব সামনের সপ্তাহেই আনুষ্ঠনিকভাবে চালু হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্টল বণ্টন হয়ে গিয়েছে। এবার থেকে প্রতি সোমবার বেলডাঙার হাট গারমেন্ট হাবে বসবে। এরফলে ব্যবসায়ীদেরও বহু সমস্যার সমাধান হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান আরও বলেন, গারমেন্ট হাবে ৫৮০টি ঘর রয়েছে। কাপড় ব্যবসায়ীদের আর ফাঁকা জায়গায় বসে ব্যবসা করতে হবে না। ট্রার্মিনাসটিও আমরা দ্রুত চালু করে দিতে পারব। চালকদের জন্য সেখানে সবরকম ব্যবস্থা থাকছে। বিভিন্ন রাজ্যের ট্রাক বেলডাঙায় আসে। অনেক সময় চালকদের চার-পাঁচদিন থেকে যেতে হয়। হোটেল ভাড়া করে থাকার মতো সামর্থ্য সবার থাকে না। রাস্তাতেই তাদের থাকতে হতো। এবার থেকে তাঁরা ভালোভাবেই থাকতে পারবেন।
তবে পুরো প্রকল্পটি নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। অদৌ এখান থেকে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন কিনা তা নিয়ে তাঁরা সংশয়ে রয়েছেন। কংগ্রেস নেতা কিশোর ভাস্কর বলেন, বেলডাঙায় প্রায় দু’হাজার কাপড় ব্যবসায়ী রয়েছে। সবাই স্টল পাচ্ছেন না। তাছাড়া আদৌ সব ব্যবসায়ী স্টলে কাপড় নিয়ে গিয়ে ব্যবসা করবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ট্রাক টার্মিনাসটিও নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি। কখন টেন্ডার হল বা সেখানে কারা কাজ করল তা কেউ জানতে পারল না।