সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সূত্র মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলকোট থানার পুলিস শিশুটির খোঁজে কাঁকসা এলাকায় তল্লাশি চালায়। তারপর সেখানে এক দম্পতির বাড়িতে শিশুটি মেলে। তারপর কাঁকসা থানায় গিয়ে শিশুটিকে নিজেদের হেফাজতে নেয় মঙ্গলকোট থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের সোম মুর্মু এবং মেনকা মুর্মুর ওই শিশুপুত্রকে তাঁদেরই এক নিকট আত্মীয়ের কাছে ১০হাজার টাকার বিনিময়ে হতবদল করা হয়েছিল।
কাঁকসার ওই দম্পতি পুলিসকে জানিয়েছেন, তাঁরা শিশু কেনননি। বরং শিশুটিকে মানুষ করার জন্যই নিয়েছিলেন। তবে মুর্মু দম্পতিকে তার জন্য তাঁরা ১০হাজার টাকা দিয়েছিলেন।
এদিন কাটোয়ার মহকুমা শাসক সৌমেন পাল বলেন, আইন অনুযায়ী ওই দম্পতির শিশুপুত্র বিক্রি হয়নি। ওঁরা আমাদের জানিয়েছেন, মানুষ করার জন্যই শিশুপুত্রকে আত্মীয়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তবে আমরা শিশুটিকে প্রথমে হোমে পাঠাব। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের পালিগ্রাম অঞ্চলের নারায়ণপুর গ্রামের আদিবাসী পাড়ার ওই দম্পতি চারদিনের শিশুপুত্রকে অন্যজনের কাছে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ২২অক্টোবর মুর্মু দম্পতির এক শিশুপুত্রের জন্ম হয়েছিল। শিশুর বাবা সোম মুর্মু বলেন, দিনমজুরি করে কোনওমতে সংসার চলাই। পাঁচ সন্তানকে নিয়ে কীভাবে অভাবের সংসারে থাকব এই চিন্তায় থাকতাম। ছেলেকে গ্রামের একজনের কথায় ভালোভাবে মানুষ করার জন্য তুলে দিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে মহকুমা শাসক ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেন।