বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুই আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন অসিতবাবু। বিজেপিতে যাওয়ার আগে থেকেই তিনি প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন। লিফলেট পড়ার পর অসিতবাবু সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। যদি কারও কারও কাছে টাকা নিয়ে থাকি, তারা আদালতে মামলা করুক। বেনামে লিফলেট ছড়াচ্ছে বিরোধীরা।
কৃষ্ণনগর পুরসভার চার ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার অসিত সাহা একাধিক দল করেছেন। সিপিএম, কংগ্রেস, সমাজবাদী, সিপিআই (এমএল), তৃণমূল সব দলেই গিয়েছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তিনি গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝোঁকেন। মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করার পর কৃষ্ণনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এখন তাঁকে বিজেপির প্রতিটি কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে দেখা যাচ্ছে। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহার বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে আন্দোলন করছেন। পুরসভার জমিতে পেট্রল পাম্প নির্মাণে সরব হয়েছেন। প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ তুলেছেন।
এরই মাঝে কৃষ্ণনগর শহরে অসিত সাহার বিরুদ্ধে একটি লিফলেট ছড়িয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও কাটমানির অভিযোগ তোলা হয়েছে। লিফলেটে তাঁর বিভিন্ন দলবদলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
লিফটের পড়ার আগেই অসিতবাবুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, উনি সরকারি প্রকল্প থেকে কাটমানি নিয়েছেন, এমন কাগজপত্র আমার কাছে আছে। তা একদিন ফাঁস হয়ে যাবে। সবচেয়ে উনি বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। এখন উনি অন্যের বিরুদ্ধে বলে বেড়াচ্ছেন। কে লিফলেট দিয়েছে জানি না। তবে লিফলেটে সত্যি কথাই লিখেছে। লিফলেটে যা লেখা হয়েছে, তার চেয়েও বেশি কেলেঙ্কারির নায়ক উনি।
অসিতবাবু বলেন, আমি যখন তৃণমূলে ছিলাম, তখন সৎ ছিলাম। এখন বিজেপিতে এসেছি বলেই অসৎ? ঘূর্ণিতে মন্দির নির্মাণে আমি নিজে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছি। আর বার কাম হোটেলের মালিক আমি একা নই। অনেকে পার্টনারশিপ রয়েছেন। আমি ভিখারি পরিবারে জন্মাইনি। আমি বংশ পরম্পরায় ব্যবসা করছি। চারটে ইটভাটার মালিক আমি। আমি সাধারণ মানুষের টাকা খাই না। সরকারি প্রকল্প থেকে কাটমানি নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। যারা নিয়েছে, তাদের চোরের মায়ের বড় গলা।