বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
সাতদিন পেরিয়ে গেলেও মল্লারপুরের ক্লাবে বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন ক্লাব সদস্য থেকে সাধারণ মানুষ। সেইমতো এদিন এলাকার মানুষ বাইনা মোড় থেকে মিছিল করে থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের কর্মকর্তারাও। প্রায় হাজার দুয়েক মানুষ এদিন বিক্ষোভে শামিল হন। যদিও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে থানার সামনে প্রচুর পুলিস ও র্যা ফ মোতায়েন করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের ছ’জনের একটি প্রতিনিধি দল থানায় গিয়ে এসডিপিওর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
ক্লাবের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মহম্মদ মসিউর রহমান বলেন, সাতদিন হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণকাণ্ডে দোষীদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিস। ফলে আমরা আতঙ্কিত। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মল্লারপুর বাজারজুড়ে থাকা অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা অকেজো হয়ে রয়েছে। যার জন্য দায়ী পুলিস। অবিলম্বে সেগুলি সচল করতে হবে। এটা কোনও সাধারণ বিস্ফোরণ নয়। তাই এনআইএ দিয়ে তদন্ত করা হোক।
ক্লাবের সদস্যরা বলেন, শাসক দলের জেলা সভাপতি যে ধরনের মন্তব্য করছেন, তাতে তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ক্লাব সদস্য শেখর গুপ্ত বলেন, পুলিস তদন্তে গড়িমসি করছে। বিস্ফোরণের সময় ২০০ মিটার দূরে পুলিসের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। দমকলকে খবর দেওয়া সত্ত্বেও প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে এসেছিল। আমরা প্রথম থেকেই পুলিসকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। অথচ বৃহস্পতিবার মাঝরাতে থানা থেকে ক্লাবের নজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে। এটা হয়রানি ছাড়া কিছুই নয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, যেভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে তাতে আমরা শঙ্কিত। তাই ব্যবসা বন্ধ করে আমরা বিক্ষোভে শামিল হয়েছি।
যদিও অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ওরা বাজে কথা বলছে। ক্লাবেই বোমা মজুত রাখা হয়েছিল। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলবে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, মল্লারপুরজুড়ে পুলিসের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে বিস্ফোরণের আগের দিন অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা খারাপ হয়ে যায়। অথচ বিস্ফোরণের পর থেকে সেগুলি আবার সচল হয়ে যায়। এরমধ্যে অবশ্যই কোনও চক্রান্ত রয়েছে। যদিও পুলিস তা মানতে চায়নি।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে এলাকায় এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক ভিলেজ পুলিস মোতায়েন ছিলেন। সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মজুত বোমা থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কে বা কারা রেখেছিল সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখন গ্রেপ্তারি এড়াতে ডেপুটেশন দিয়ে পুলিসের উপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নেওয়া হচ্ছে। যাঁরা ওইদিন মল্লারপুর বাজারের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। কোনও পুলিস অফিসার থাকলে তিনিও বাদ যাবেন না। ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ধরপাকড় শুরু করবে পুলিস।