বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের শালতোড়ের মাদ্রাসার বছর বারোর ওই ছাত্রটি তার এক বন্ধুকে বাসে চাপাতে পারবেলিয়া যায়। অভিযোগ, ফেরার পথে তিনজন হিন্দিভাষী যুবক মুখে কাপড় বেঁধে তার পথ আটকে পরিচয় জানতে চায়। পরে তাকে জয় শ্রীরাম বলতে বলা হয়। কিন্তু সে না বলায় ওই ছাত্রকে একটি ঝোপের আড়ালে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পরে সে কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই ছাত্রের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় এসে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। শুক্রবার পর্যন্ত দোষীদের কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় এদিনও বিক্ষোভ দেখানো হয়। এবিষয়ে পুরুলিয়ার পুলিস সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি বলেন, এই ধরনের ঘটনা নিতুড়িয়ায় আগে কখনও ঘটেনি। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথাবার্তা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার মতো ভাষা প্রয়োগ হচ্ছে। আমরা চাই, চারিদিকে শান্তি বিরাজ করুক। শালতোড়ে যে ঘটনা হয়েছে তা কখনওই কাম্য নয়। আমরা চাই, প্রশাসন দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দিক।
এবিষয়ে নিতুড়িয়ার বিজেপির ব্লক সভাপতি অসীম চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কিছু মানুষ জয় শ্রীরামের অপব্যবহার করে বিজেপির বদনাম করার চেষ্টা করছে। বিজেপি দলকে বদনাম করতে এমন ঘটনা শুধুমাত্র নিতুড়িয়ায় নয়, পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ঘটানো হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত হোক, তাহলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।