কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
মাটিগাড়া থানার এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী শিবমন্দিরের যে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন সেই বাড়িতে অভিযুক্তের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। ঘটনার আগের দিন অধ্যাপক ওই বাড়ির গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন সকালে ওই অধ্যাপক ছাত্রীর সঙ্গে কয়েকবার মোবাইলে কথা বলেছেন। ওই দিন সকালেও অধ্যাপক ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিস মৃত ছাত্রীর ফোনের কললিস্ট দেখে জানতে পেরেছে ওই ছাত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত অধ্যাপক দিনের বেলা ছাড়াও নিয়মিত গভীর রাত পর্যন্ত কথা বলতেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে সেই কথা চলত। পাশাপাশি ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপেও বিভিন্ন আপত্তিজনক ছবি ও মেসেজ করতেন বলে পুলিসের হাতে তথ্য রয়েছে। পুলিস তদন্তে নেমে ছাত্রীর ভাড়াবাড়ির আশপাশে থাকা স্থানীয় কয়েকটি বাড়ির মোট পাঁচটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। তাতে ওই অধ্যাপককে ছাত্রীর বাড়িতে দিনে এমনকী রাতে যাতায়াতে প্রমাণ পেয়েছে।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডেপুটি পুলিস কমিশনার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, পুলিস সমস্ত সূত্র থেকে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সঠিকপথে এগচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশিকিছু এখনই বলা সম্ভব নয়। এদিকে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ একত্র করে মাটিগাড়া থানার পুলিস গত মঙ্গলবার অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পাঁচটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মঙ্গলবারই অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মাটিগাড়া থানায় দায়ের হওয়া মামলার একটি প্রতিলিপি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছে দিয়েছে পুলিস। ওই দিন বিকেল থেকেই অধ্যাপকের দু’টি মোবাইল ফোন স্যুইচ অফ। বর্তমানে পুলিসের খাতায় ওই অধ্যাপক নিরুদ্দেশ।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে অভিযুক্ত অধ্যাপক এলাকা থেকে উধাও। এদিকে মৃত ছাত্রীর পরিবারের তরফে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর অধ্যাপকের গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন আন্দোলনে নেমেছে। অভিযুক্ত অধ্যাপককে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দেবাশিস দত্ত বুধবার বলেন, ওই ঘটনায় পুলিসের তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সবরকম সাহায্য করা হবে।