কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
সম্প্রতি বালুরঘাটের মঙ্গলপুরে নতুন ক্যাম্পাস চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু অফলাইন ক্লাস চালু হলেও যোগ দিচ্ছেন না পড়ুয়ারা। উপস্থিতির হার একেবারেই কম হওয়ায় উদ্বিগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পড়ুয়ায়াদের ডেকে এবার ক্লাসে আসার অনুরোধ জানালেন খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবব্রত মিত্র। সব পড়ুয়ার সঙ্গে আলাদাভাবে কথাও বলেন তিনি।
এবিষয়ে উপাচার্য বলেন, বার বার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এতে আমার কিছু করার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন জায়গা দেওয়ার জন্য বালুরঘাট বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তন নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। অফলাইন ক্লাস হবে কি না, সেটা নিয়েও তাদের সন্দেহ ছিল। তাই পড়ুয়া কম আসছে। সমস্ত পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলে তাদের ভরসা জুগিয়েছি। সবাই ক্লাসে আসার জন্য উৎসাহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নীলাঞ্জন ঘোষের কথায়,কিছু কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। এটা নিয়ে আমরা খুব সমস্যায় পড়ছি। বার বার বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা পরিবর্তন করতে হচ্ছে। অনেক জায়গা থেকে আমাদের সরিয়ে দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে সেটা ফাঁকাই থাকছে। তবুও কেন সরানো হচ্ছে বুঝতে পারছি না। তবে আমাদের উপাচার্য অনেক চেষ্টা করছেন অফলাইন ক্লাস চালু রাখার। আমরা নিয়মিত ক্লাস করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালে পঠনপাঠন শুরু হয়েছিল অনলাইনে। প্রথমে বালুরঘাট শহরের উত্তর চকভবানী এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতেই অফিস ঘর চালু হয়। ২০২৩ সালে অফলাইন ক্লাস শুরু হয় বালুরঘাট গার্লস কলেজের একটি হোস্টেলে। যদিও গার্লস কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিনামূল্যে ওই হোস্টেলটি দিয়েছিল। কিন্তু ওই কলেজে ন্যাক ভিজিট করবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৭ এপ্রিলের মধ্যে ছেড়ে দিতে বলা হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বালুরঘাট পুরসভার একটি ভবন ভাড়া নিতে চুক্তি করেছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই ভবন পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে মাথায় হাত পড়ে কর্তৃপক্ষের। অবশেষে বালুরঘাট বিএড কলেজ কলেজ কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষার স্বার্থে তাদের পুরনো একটি হোস্টেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে সেখানেই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। পুরনো বিল্ডিংয়ে ক্লাসরুম, অফিসরুম, ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে।
এদিকে ভবন না থাকায় বারবার বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পরিবর্তন করায় ক্লাস নিয়েও ধন্দে পড়ুয়ারা। এদিকে ইংরেজি, অঙ্ক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ক্লাস চলছে। এপ্রিলে ওই নতুন ভবনে ক্লাস চালু হলেও পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার একেবারেই কম। পড়ুয়াদের জন্য অনেক কষ্টে জায়গা খুঁজে পেলেও অফলাইন ক্লাস কেন হচ্ছে না, পড়ুয়াদের এদিন সেসব বোঝানো হয়।