সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
মঙ্গলবার রায়গঞ্জ ব্লকে পর্যালোচনামূলক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দেন জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। এখন নির্বাচনী বিধি ওঠার এক সপ্তাহের মধ্যেই বরাদ্দ অর্থের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক। এদিন ইটাহার ও রায়গঞ্জ ব্লকে গিয়েছিলেন জেলা শাসক। তিনি দুই ব্লকের সরকারি কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে ৩০ মের মধ্যে পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশন এবং ১০ জুনের মধ্যে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ খরচ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা শাসক বলেন, ১০ জুনের মধ্যে বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা খরচ করতে না পারলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিন প্রথমে ইটাহার ও পরে বিকেলে রায়গঞ্জ ব্লকে যান জেলা শাসক। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারি কাজে ঢিলেমির জন্য রায়গঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের কমবেশি ধমক খেতে হয়েছে। বিশেষ করে মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দশা সবথেকে শোচনীয়। বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তারা ভোট ঘোষণার আগে টেন্ডার প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করে উঠতে পারেনি। টায়েড ও আনটায়েড মিলিয়ে মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য কয়েক লক্ষ টাকার উন্নয়নমূলক কাজ বরাদ্দ হয়েছে।
পঞ্চাদশ অর্থ কমিশন, পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশন, আনন্দধারা, জল জীবন মিশন সহ সমস্ত সরকারি প্রকল্পের কাজের গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখতে সোমবার থেকে ব্লক ভিত্তিক অভিযান শুরু করেছেন জেলা শাসক। এদিন ইটাহার ও রায়গঞ্জ ব্লকের প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজের ফাইল ধরে ধরে কাজের গতি খতিয়ে দেখেন। এক্ষেত্রে দেখা যায় রায়গঞ্জ ব্লকের বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ ঠিকমতো খরচ করতে পারছে না।
এছাড়াও স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্কুলের পোশাক সেলাইয়ের কাজে জোর দিতে বলেছেন জেলা শাসক। জেলার প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একটা করে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই কাজও দ্রুততার সঙ্গে করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।