সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
শহরের ১৩, ১৪, ১৬, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধীকলোনি, গাবগাছি, ঘোষপাড়া, দেবীপুর, চৈতন্যমোড়, বাচ্চা কলোনির বাসিন্দারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। আবর্জনায় অবরুদ্ধ হয়ে থাকছে নালা। সেজন্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল উঠে আসে। নালা ও রাস্তার জল মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সেই জল ডিঙিয়ে যাতায়াত করতে হয় শহরবাসীকে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাচ্চা কলোনিতে বেহাল নিকাশি নালার প্রসঙ্গ তুলতেই জিতু সিংহ, ষষ্ঠী মণ্ডলরা ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা, বর্ষার সময় শহরে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয়। নিকাশি বেহাল হওয়ায় বাড়িতেও জল ঢুকে পড়ে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া যায় না। আমরা যে বিভিন্ন মহলে নিকাশি নিয়ে দরবার করিনি, তা নয়। কিন্তু জল নিকাশির জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একবার মাপজোখ করা হলেও কাজ শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এর আগে কেউ নিকাশি নালা নিয়ে কাজ করেননি। ভুল প্ল্যানে নালা নির্মাণ করেছিল। সেজন্য এখনও মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পুরসভা এবার ওই এলাকায় একাধিক নালা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। সব জল নদীমুখে চলে যাবে। একটি নালা হয়ে গিয়েছে। বাকি দু’টি নির্বাচন বিধি শেষ হতেই হয়ে যাবে বলে আশা।
১৩, ১৪ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও নিকাশির একই দশা। সেখানেও ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলে শহরকে জল জমার সমস্যা থেকে মুক্ত করার দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, বর্ষা আসছে। সেজন্য একাধিক কাজের পরিকল্পনা নিয়েছি। শহরের সব নালা সাফাই করা হবে। জমা জল বের করতে পাম্প চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশি নালা নির্মাণের জন্য টেন্ডার করা হয়েছে। নির্বাচন বিধি শেষ হতেই বাকি কাজ হবে। ১৩, ১৪ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য বড় নিকাশি নালা নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন এলেই কাজ শুরু হবে। তখন আর শহরবাসীর সমস্যা হবে না।