সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
কার্শিয়াংয়ের ডিএফও দেবেশ পান্ডে বলেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকায় যোগাযোগ রক্ষায় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বনকর্মীদের। আবার কোনও এলাকায় হাতি ঢুকে পড়লে খবর পেয়ে দেখা যায় দু-তিনটি রেঞ্জের কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন। এসব ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে আরটি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে প্রতিটি রেঞ্জের কন্ট্রোলরুম থেকে টহলদারিতে মোতায়েন টিমকে সঠিক নির্দেশ দেওয়া যাবে, যাতে ভুল বোঝাবুঝি এড়িয়ে সঠিক জায়গায় টিমগুলি যেতে পারে। এখন ভুট্টার মরশুম। কার্শিয়াং ডিভিশনে প্রায় ৮০টি হাতির দল ঘোরাফেরা করছে। নেপাল সীমান্ত নকশালবাড়ি ও খড়িবাড়ি ব্লকের গ্রামগুলিতে ইতিমধ্যেই হানা দিতে শুরু করেছে হাতির দল। বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছর হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসল, মানুষের মৃত্যুর জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ মেটানো হয়েছে। শুধু ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩২ লক্ষ টাকা দিয়েছে বনদপ্তর। এছাড়া জঙ্গলের ভিতরে ও লোকালয় মিলিয়ে হাতির হামলায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডিএফও বলেন, হাতির বিভিন্ন করিডরে বসতি গড়ে উঠেছে। এতে বনপ্রাণী ও মানুষের সঙ্ঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে, যা নিয়ন্ত্রণে বনবিভাগ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। ডিভিশনের অধীনে চারটি রেঞ্জে অতিরিক্ত ভ্যান দেওয়া আছে। এছাড়া এলিফেন্ট স্কোয়াডের বিশেষ প্রযুক্তি যুক্ত ঐরাবত ভ্যান রয়েছে। বর্তমানে হাতির হানা রুখতে ১০টি ভ্যান আছে। এছাড়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গাড়ি সহ ক্যুইক রেসপন্স টিম গঠন করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে, হাতি উপদ্রুত এলাকায় চলছে সচেতনতা প্রচার। তাতে হাতিকে অযথা বিরক্ত না করা, সেলফি না তোলা কিংবা হাতি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ডিএফও। তাঁর কড়া হুঁশিয়ারি, নজরে এলে বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।