সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েক বছর আগে প্রায় প্রতিটি বিদ্যুতের খুঁটিতে পথবাতি দেওয়া হয়েছিল। সেসময় সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন তপন সিংহ। তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়নে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে ২৬০টি বিদ্যুতের খুঁটি ও পথবাতি বসিয়ে দেওয়া হয়। লোকসভা ভোটের আগে এলাকায় শুরু হয় নালা তৈরির কাজ। শুনেছি, সেই কাজের সুবিধার জন্য পথবাতি খোলা হয়েছিল। কিন্তু কেন তা ফের বসানো হচ্ছে না, তা এখন যিনি প্রধান আছেন, তিনিই বলতে পারবেন।
এদিকে নালা তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী আশ্বস্ত হন, এবার বর্ষায় জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন তাঁরা। কিন্তু সেই নালার কাজের জন্য এলাকার রাস্তাঘাট দিনের পর দিন অন্ধকারে ডুবে থাকবে তা তাঁরা ভাবেননি। খুলে ফেলা পথবাতি এখনও না বসানোয় গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। অম্বিকানগরের রমেশ সাহা, ভোলা মোড়ের গীতালি ঘোষ, শ্যামলী রায়, দিলীপ সরকার, পাঁচকলগুড়ির দীপু দাসের মতো বাসিন্দারা বলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে সন্ধ্যার পর থেকে গোটা এলাকার রাস্তা অন্ধকারে ডুবে থাকাছে। পথবাতি না থাকায় বিভিন্ন জায়গায় অবাধে চলছে মদের আসর। রাতে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি আমরা। নালার কাজের সময় বলা হয়েছিল, কিছুদিনের মধ্যেই আবার পথবাতি বসিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও তা বসানো হয়নি।
গ্রামবাসীর ক্ষোভ সঙ্গত বলে জানিয়েছেন ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সুনীতা রায় সরকার। তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এসজেডিএ থেকে নালা তৈরির কাজ শুরু হয়। সেসময় সব বিদ্যুতের খুঁটি এবং পথবাতি খুলে ফেলা হয়েছিল। ঠিকাদার সংস্থা কথা দিয়েছিল, কিছুদিনের মধ্যে সব খুঁটি বসিয়ে দেবে। কিন্তু অনেক জায়গায় কাজ শেষ হলেও খুঁটি ও পথবাতি বসানো হয়নি। এখন বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে অস্থায়ীভাবে পোল বসিয়ে এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ সচল রাখা হয়েছে। ঠিকাদার সংস্থা এখনও কেন কাজ করছে না তা জানতে চেয়ে এসজেডিএ’কে আমরা পঞ্চায়েতের তরফে চিঠি করেছি। ফের এসজেডিএ’র দ্বারস্থ হব।