নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের সমর্থনে সোমবার বিকেলে শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিশাল মিছিল করেন কাউন্সিলার রঞ্জন শীলশর্মা। সারি সারি ঢাক, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ট্যাবলো সহ মিছিলে নানা বয়সের মানুষের ঢল নামে। এলাকার বয়স্ক মানুষ, যাঁরা হাঁটতে পারেন না, তাঁদের জন্য ছিল অসংখ্য টোটো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত শনিবার জাবরাভিটায় সভা করে যাওয়ার পর তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব প্রচারে আরও জোর দিয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলাররা নিজেদের ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীকে লিড দিতে মরিয়া প্রচার করছেন। কারণ, দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ১৪টি ওয়ার্ডের কয়েকটি ওয়ার্ড থেকে প্রত্যাশা মতো লোক যাননি। এ বিষয়ে কাউন্সিলারদের ভূমিকা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। যাতে আর কোনও বিতর্ক তৈরি না হয়, সেজন্য কাউন্সিলাররা এখন তাঁদের ওয়ার্ডে প্রচারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। রঞ্জনবাবু বলেন, গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে বিজেপি লিড পেয়েছিল। মানুষ বিজেপির প্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছিল। তারা ভুল বুঝতে পেরেছে। এবার যে তারা সেই ভুল করবে না তা এদিনের মিছিলে মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে। সংযোজিত ১৪ ওয়ার্ডের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিরার দুলাল দত্ত স্বীকার করেন, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় কয়েকটি ওয়ার্ড থেকে প্রত্যাশামতো লোক যেতে পারেননি। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন চড়কপুজো ছিল। সেকারণে আমার ওয়ার্ড সহ কয়েকটি ওয়ার্ড থেকে বিপুল সংখ্যক লোক যেতে পারেননি। এদিকে, সোমবার শীতলকুচি মার্কেট কমপ্লেক্সে বাম প্রার্থী নীতীশচন্দ্র রায়ের সমর্থনে জনসভা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়, ফব’র রাজ্য সভাপতি গোবিন্দ রায়, শীতলকুচির প্রাক্তন বিধায়ক হরিশচন্দ্র বর্মন সহ অন্যরা।
জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ জয়ন্তকুমার রায়ের সমর্থনে নির্বাচনী পথসভা হয় হলদিবাড়ি শহরের ট্রাফিক মোড়ে। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মুখপাত্র সৌমিক ভট্টাচার্য, বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক দধীরাম রায় প্রমুখ।