কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
আজ, সোমবার মেহব্বুল কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। ১৬ বছরের অ্যাথলিটের এমন সাফল্যের কথা চাউর হতেই জেলার ক্রীড়া মহল উচ্ছ্বসিত।
মেহব্বুল বলে, সাই ক্যাম্পে সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে। দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন পূরণ করতে সোমবার কলকাতা রওনা হবো। কোচ এবং পরিবার পাশে না থাকলে এই সাফল্য আসত না। সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করব।
মেহব্বুলের বাড়ি কালিয়াচক-১ ব্লকের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামে। বাবা কাফিউদ্দিন আহমেদ পেশায় কৃষক। মা রুকসানা বিবি। মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া মেহব্বুল ছোট থেকে ফুটবল খেলতে খুব ভালোবাসত। তারপর জেলার প্রশিক্ষক অসিত পালের হাত ধরে অ্যাথলেটিক্সে নাম লেখায়। মেহব্বুলকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিতেন অসিত।
গত বছর বিহারের পাটলিপুত্র স্টেডিয়ামে জুনিয়র ন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় মেহব্বুল ১০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিয়েছিল। প্রতিভা দেখে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ট্যালেন্ট সার্চ টিম ইমেল মারফত ন্যাশনাল ক্যাম্পে অনুশীলনের জন্য মেহব্বুলকে ডাকে।
সেখানে ভালো পারফরমেন্সের সুবাদে মেহব্বুল কলকাতার সাই ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছে। মালদহ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তথা ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, জেলায় খেলাধুলোর মান কয়েক বছরে ভীষণ উন্নত হয়েছে। মেহব্বুলের সাফল্য কামনা করি। আমরা সব সময় তার পাশে আছি।
অসিত পাল বলেন, দেশে ট্যালেন্ট সার্চ কমিটি রয়েছে। তাঁদের তত্ত্বাবধানে অতীতে ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছিল মেহব্বুল। সেখানে ভালো পারফরমেন্স করার পর সাইয়ে সুযোগ এসেছে। এটা জেলার জন্য বিরাট প্রাপ্তি।
প্রশিক্ষকের সঙ্গে মেহব্বুল আহমেদ।