উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
বৈঠক শেষে বোলপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় জানান, সংগঠনে পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। তাই আজ সভা করে সেই বদল করা হয়েছে। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। যেসব জায়গায় তৃণমূলের বারবার পরাজয় হচ্ছিল সেখানকার নেতাদের সরিয়ে অন্যদের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তাঁরা দলে থাকবেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন না। এটা পরীক্ষামূলকভাবে করা হচ্ছে। অসফল হলে অন্যদের সুযোগ দিতে হবে। সেজন্যই বেশকিছু প্রয়োজনীয় রদবদল করা হয়েছে।
২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পর এবার তৃণমূলের লক্ষ্য আসন্ন পুর নির্বাচন ও ২০২৪-এর লোকসভা। এজন্য এখন থেকেই সাংগঠন শক্তিশালী করছে তৃণমূল। জেলার বিভিন্ন সাংগঠনিক পদে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। এদিন বৈঠকের পর জেলা কমিটির এক শীর্ষ নেতা জানান, দল ও সংগঠনের স্বার্থে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বীরভূম জেলা তৃণমূলে বহু বছর পর এত বড় রদবদল হল। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই যোগ্য ব্যক্তিদের সামনে নিয়ে এসে দলকে মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রামপুরহাটের যে এলাকাগুলিতে দল পিছিয়ে পড়ছিল সেখানকার গ্রামাঞ্চলের বুথ সভাপতি ও শহরের ওয়ার্ড সভাপতিদের বদল করা হয়েছে বলে এক শীর্ষ নেতা জানান। এছাড়া, বোলপুর ও সিউড়িতে বেশকিছু পঞ্চায়েতের প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বদল করা হয়েছে। একইভাবে দলের অঞ্চল নেতৃত্বেরও ব্যাপক বদল ঘটানো হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এছাড়া দুবরাজপুর, ময়ূরেশ্বর, সাঁইথিয়া, নলহাটি বিধানসভাতেও সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। পাশাপাশি দলের রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মতো ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ বিষয়টিও পঞ্চায়েত স্তরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতস্তরে এমন অনেক নেতা-নেত্রী আছেন, যাঁরা একই সঙ্গে বেশকিছু পদে আসীন। তাঁদেরও এদিন সরিয়ে অন্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও এনিয়ে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এদিন শতাব্দী রায় জানান, অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যদিও সব নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিধায়কেরা নাম চূড়ান্ত করবেন। আগামী দিনে সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে পদাধিকারীরা কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন বছর পর এদিন জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নানা কাজ ও সংসদে ব্যস্ত থাকায় সবসময় জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এখন বোলপুরে রয়েছি বলে বৈঠকে যোগ দিলাম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়।