উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
অভিযোগকারী কৃষ্ণ রায় বৈশ্য বলেন, অভিযুক্ত সহ মোট তিনজন চারলক্ষ টাকা লোন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। এ জন্য ওরা ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিল। আমরা তিন চাষি পুলিসের কাছে অভিযোগ জানাই। পুলিস ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে আমরা চাই আমাদের টাকা সুদ সহ ফেরত।
তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু রায় বলেন, গরিব মানুষকে ঠকিয়ে টাকা নেওয়া কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তর কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। বিজেপি নেতা অনুপ পাল বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অরুণ রায়কে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা যতদূর জানি উনি নির্দোষ।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি ভূষণ ছেত্রি বলেন, অভিযুক্তকে জেরা করে ওর কথায় বেশকিছু অসঙ্গতি মেলে। তাই গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণ রায় বৈশ্য, সুবল রায় বৈশ্য এবং নেন্দু রায়ের অভিযোগ, ২০১৭ সালে অরুণ রায় সহ তিনজন শুয়োরের খামার করে দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেয়। তারা মোট ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিল। ওই তিনজনের মধ্যে একজন স্থানীয় একটি ফার্মাস ক্লাবের সভাপতি। সেইজন্য ওই তিন চাষি ভেবেছিলেন সহজেই লোন পাওয়া যাবে। তাই তাঁরা ২০, ২৫ এবং ৩৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁরা আর লোন পাননি। বিভিন্ন সময়ে টাকা চেয়েও না পেয়ে চাষিরা পুলিসের দ্বারস্থ হন। এমনকী গতসপ্তাহে ওই তিন চাষি ফার্মাস ক্লাবের সভাপতির বাড়িতে সুদ সহ টাকা ফেরতের দাবিতে ধর্নায় বসেছিলেন। পরবর্তীতে পুলিসের হস্তক্ষেপে ধর্না উঠে যায়। খাগড়াবাড়ির প্রতারিত ওই তিন চাষি ময়নাগুড়ি থানায় দ্বিতীয়বার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস তদন্তে নেমে শনিবার রাতে ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অরুণ রায়কে থানায় ডেকে পাঠায়। পুলিসি জেরায় ওর কথায় অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় পরে গ্রেপ্তার করে।