শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ অমিত দাঁ বলেন, শনিবার মেডিক্যালের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা হওয়া নমুনার মধ্যে ১ হাজার ৫২২টি নেগেটিভ এবং ১২টি পজিটিভ এসেছে। পজিটিভ কেসের মধ্যে ১১টি মালদহের গৌড়কন্যা বাস স্ট্যান্ড থেকে নেওয়া হয়। পজিটিভ হওয়া একটি নমুনা উত্তর দিনাজপুর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। মালদহের নতুন করোনা রোগীদের বাড়ি কালিয়াচক এলাকায়। তাঁরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের প্রত্যেকের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, মালদহে গত ২৭ এপ্রিল প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে। বারাসত ফেরত মানিকচকের বাসিন্দা এক ব্যক্তি প্রথম করোনা ভাইরাস নিয়ে জেলায় আসেন। তারপর থেকে ২৩ দিনে জেলায় মোট ৪৬ জন মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। প্রথম রোগ ধরা পড়ার পর একসপ্তাহে মাত্র তিনজন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এমনকি ৪৬ জনের শরীরে ভাইরাস পেতে ২৩ দিন সময় লাগে। কিন্তু প্রথম আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার ২৭ দিনের মাথায় সংখ্যাটা ৯৮ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে শেষ চারদিনে জেলায় মোট ৫২ জন পরিযায়ী শ্রমিকের দেহে মারণ ভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি জানতে পারা গিয়েছে। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই জেলার কোনও না কোনও ব্লক এলাকা থেকে করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কর্তাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, মালদহে পরীক্ষা বেশি হওয়ায় বেশি রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এদিকে উত্তর দিনাজপুরে নতুন করে ১০ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। তাঁদের মধ্যে নয় জন ইসলামপুর ব্লকের বাসিন্দা ও বাকি একজন রায়গঞ্জ ব্লকের বাসিন্দা। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্য বৃদ্ধি পাওয়াতে জেলাজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এর আগে রায়গঞ্জ মহকুমা এলাকায় একের পর এক আক্রান্তের খোঁজ মিলছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে ইসলামপুর মহকুমাও সেই ‘প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই’। করণদিঘি, চোপড়া ও চাকুলিয়ার পর এদিনই প্রথম ইসলামপুর ব্লকেও আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক বলে জানা গিয়েছে। ফলে ইসলামপুর শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় এই বিষয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দনাথ প্রধান বলেন, ইসলামপুরে নয় জন করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। আইসিএমআর প্রোটোকল অনুসারে আক্রান্তদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুরের গুঞ্জরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আট জন ও গাইসাল-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক জন করোনায় আক্রান্ত। সেইসঙ্গে রায়গঞ্জ ব্লক এলাকারও একজন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা সকলেই ভিন রাজ্য থেকে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছিলেন। শনিবার পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৫। এদিন আরও ১০ জন আক্রান্ত হওয়াতে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্য দাঁড়িয়েছে ৪৫ জন।
ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, শহর সংলগ্ন এলাকায় কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা পরিযায়ী শ্রমিক। তবে করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এক্ষেত্রে সচেতনতাই পারে আমাদের রক্ষা করতে।