প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
এবিষয়ে পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক নোডাল অফিসার সাধন দাস বলেন, করোনা আক্রান্তের খোঁজে যে সমীক্ষা শুরু হয়েছিল তাতে আপাতত কোনও রোগীর হদিশ মেলেনি। প্রথম দফায় এক প্রকার আমরা নিশ্চিত হয়েই গিয়েছি। দ্বিতীয় দফায় ৫০ শতাংশ এলাকা সমীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ওয়ার্ড প্রতি দুই একজনের জ্বর ছাড়া তেমন কোনও উপসর্গ নেই। স্বাভাবিক কারণেই করোনা নিয়ে শহরবাসী যে উদ্বেগে রয়েছেন। তবে এই সমীক্ষা রিপোর্ট আপাতত সেই উদ্বেগ অনেকটা কাটিয়ে দিয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন, আমাদের মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ করছেন। এতে আমাদের কাছে খুবই স্বস্তির খবর যে এখনও করোনার উপসর্গ নিয়ে শহরে কেউ নেই। তবে আমরা সব রকম নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি। নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতার পাশাপাশি সোশ্যাল ডিসটেন্স যাতে মেনে চলা হয় সেবিষয়ও দেখা হচ্ছে। পুরসভার একমাত্র বিরোধী কাউন্সিলার সিপিএমের সুজন সাহা বলেন, বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা রিপোর্ট যদি সন্তোষজনক হয় তাহলে ভালো। তবে মৌখিকভাবে সমীক্ষা করলে হবে না। এরসঙ্গে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি পরীক্ষার ব্যবস্থা করলে আরও ভালোভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে। সেই ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। শহরের নবাবগঞ্জের বাসিন্দা পেশায় গৃহশিক্ষক অনির্বাণ দাস বলেন, আপাতত সার্ভে রিপোর্ট ভালো হলেও যেভাবে বেপরোয়ভাবে মানুষ লকডাউন উপেক্ষা করছে তাতে শহরের বাইরে থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ জন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সমীক্ষা করছেন। তাঁরা প্রত্যেকে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৬০টি বাড়িতে গিয়ে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, গা-গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ চিহ্নিত করছেন। গত এপ্রিল মাসে পুরসভার ১৬ হাজার ৮৬৮টি বাড়িতে গিয়ে তাঁরা সমীক্ষা করেছেন। তাতে ৫৯ জনের জ্বরের উপসর্গ পেয়েছেন। সেগুলি সিজনাল জ্বর। এরসঙ্গে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। চলতি মাসে শহরের ২০টি ওয়ার্ডে ৫০ শতাংশ সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। এতে এখনও কারও কোভিড ১৯’র উপসর্গ মেলেনি ।